প্রতিবেদক-মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:>>>
বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন উপলক্ষে বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি ভদন্ত রাহুলপ্রিয় মহাস্থবির।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা।
শ্রীমৎ রেবতপ্রিয় ভিক্ষুর মঙ্গলাচরণের মধ্য দিয়ে বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকাশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল দাশ, বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন, জলদী ধর্মরতœ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মপাল মহাস্থবির, দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তিলোকানন্দ মহাস্থবির, শীলকূপ চৈত্য বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত দেবমিত্র মহাস্থবির, পুঁইছড়ি চন্দ্রজ্যোতি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মপাল স্থবির, সংঘরাজ অভয়তিষ্য পারিজাত আরাম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত মৈত্রীজিৎ স্থবির।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক রাহুল কান্তি বড়ুয়া, কাউন্সিলর তপন বড়–য়া, আওয়ামীলীগ নেতা ভূপাল বড়ুয়া, সীমান্ত বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, বাসুদেব বড়ুয়া, দীপক বড়ুয়া, উদীপ বড়ুয়া, সুকাশ বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার অনুষ্ঠিতব্য প্রবারণা পূর্ণিমা সারাদেশের ন্যায় বাঁশখালীর ৬টি বৌদ্ধ বিহারেও শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মাধ্যমে উদ্যাপন করা হবে।
প্রবারণা পূর্ণিমা ও আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাঁশখালীর ৬টি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে তাতেও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সবাই একসাথে উদ্যাপন করে থাকে। অনুরূপ প্রবারণা পূর্ণিমাও উদ্যাপন করা হবে। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পক্ষ থেকে ৬টি বৌদ্ধ বিহারকে ১৫ হাজার টাকা করে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারকে ৫০০ কেজি করে অনুদানের চাউল প্রদান করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment