এম ডি হাফিজুর রহমান, চলনবিল প্রতিনিধি:>>>
চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লার মোড়ের চায়ের দোকানে দেখা যায় প্রচুর লোকের সমাগম। দিনে দিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থান দখল করছে এই অঞ্চলের চায়ের দোকানগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনে পরিপূর্ণ থাকে এই সমস্ত চায়ের দোকান। নবীন-প্রবীণ সকলের কাছে চায়ের দোকান বা টি স্টল আড্ডার একটি পারফেক্ট স্থান হয়ে উঠেছে।
চায়ের কাপে চুমুক দিতেই যেন আড্ডা টা জমে ওঠে। আর সেই আড্ডায় ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ গঠনমূলক বিভিন্ন আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তর্ক-বিতর্কে আড্ডা যেন আরও ঘন হয়ে ওঠে। আড্ডায় প্রবীণরা থাকেন প্রাণবন্ত। কিন্তু প্রবীণদের কথাগুলো নবীণদের কাছে বিরক্তিকর লাগলেও প্রবীণদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে নবীনদের জয়ী হওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। এদিকে নীরব শ্রোতা দোকানীও কাজের ফাঁকেফাঁকে যোগ দেন সেই আড্ডার আসরে। দোকানীর কথা শুনে মনে হয় সে যেন সব জান্তা। কোন কিছুই তার অজানা নয়। বিভিন্ন মানুষের মুখে বিভিন্ন আলোচনা শুনেই চা দোকানীও হয়ে ওঠে শ্রেষ্ঠ সংবাদ পরিবেশক।
চায়ের দোকানে পারিবারিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ক সংবাদ পাওয়া যায়। বেশ ফুরফুরে মেজাজে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে ক্রেতারা পাঠ করেন সংবাদ। চায়ের দোকানই শ্রেষ্ঠ তথ্য ভাণ্ডার হিসেবে বিবেচনা করেন এই অঞ্চলের গণমানুষ। মাত্র ৫ টাকার চায়ের সঙ্গে সংবাদ ফ্রি বলা যায়। তাছাড়া এক কাপ চা পুরো একটি পত্রিকার ভূমিকা পালন করে। সবমিলিয়ে চলনবিলের গণমানুষের জনপ্রিয় আড্ডার স্থান হয়েছে চায়ের দোকান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment