একুশে মিডিয়া, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:>>>
পোষ্টার ও ব্যানারে অনুমতি ছাড়া এম.পি’র ছবি ব্যবহার করে শুভেচ্ছা জানায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, রবিবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছেন।
জানাগেছে, শারদীয় দুর্গাৎসব উপলক্ষে পোষ্টার ও ব্যানারে অনুমতি ছাড়া এম.পি’র ছবি ব্যবহার করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উক্ত পোষ্টার-ব্যানারে তার নিজের ছবির উপরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সরওয়ার হায়াত খানের ছবি দিয়েছেন। একই সাথে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিও উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন তার পোষ্টার ও ব্যানারে দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে পোষ্টার ও ব্যানার গুলো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গানো হয়েছে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন রোববার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডি’তে তার পোষ্টার ও ব্যানারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের ছবি ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থী হয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন,
“ প্রিয় হাতীবান্ধা উপজেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম/আদাব,শারদীয় দূর্গাৎসব-২০১৯ উপলক্ষে সম্প্রতি আমি কিছু পোষ্টারের মাধ্যমে উপজেলা বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সেখানে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, মাননীয় সাংসদ জনাব মো. মোতাহার হোসেন এম.পি মহোদয়ের ছবি আমি ব্যবহার করেছি ।
স্বাভাবিকভাবে এলাকার সাংসদ হিসেবে পোষ্টারে অনুমতি ব্যতীত তাঁর ছবিটা আমি ব্যবহার করেছিলাম, কিন্তু এতে তিনি বিব্রতবোধ করবেন আমি তা জানতাম না । এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী । অন্য একটি ছবিতে আমার কলেজ শিক্ষক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সা: সাধারণ সম্পাদক জনাব সরওয়ার হায়াত খান মহোদয়ের ছবি ব্যবহার করেছি । এখানে স্যারের পরিবারের একজন ব্যতীত অন্যান্য সকলেই সম্মত রয়েছেন। যাইহোক, আজকের পর থেকে আমার ছবি ব্যবহার করা কোন পোষ্টার/ব্যানারে সাংসদ মো. মোতাহার হোসেন এম.পি মহোদয়ের ছবি ব্যবহার না করার জন্য আপনাদেরকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদান্তে, মশিউর রহমান মামুন, চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ, হাতীবান্ধা, প্রাথমিক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হাতীবান্ধা উপজেলা শাখা, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হাতীবান্ধা উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট। তারিখ: ৬ অক্টোবর ২০১৯।”
স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, মোতাহার হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আমার নেতা হওয়ায় আমি তার ছবি ব্যবহার করেছি। কিন্তু তার ছবি ব্যবহার এবং আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রাথমিক সদস্য লেখার কারণে একটি পুজা অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে আমার উপর ক্ষেপে যান এবং থ্রেট করেন। তাই আমার ছবির সাথে আর কেউ যাতে মোতাহার হোসেন এমপি’র ছবি ব্যবহার না করেন সেই জন্য আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, মোতাহার হোসেন এমপি পোষ্টার-ব্যানার আর বিল বোর্ডের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। তিনি প্রায় বলেন, ওই সবে যে টাকা ব্যয় করবো সেই টাকা দিয়ে একটি মানুষের উপকার করবো। তাই কেউ এম পি’র ছবি ব্যবহার করলে আগে তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে থাকেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেই অনুমতিটা নেয়নি। হয়তো বা মোতাহার হোসেন সেটাই তাকে বলেছেন মাত্র। কিন্তু বাকিটা ফেসুবকে উপজেলা চেয়ারম্যানের রং ঢং দেয়া।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment