একুশে মিডিয়া, যশোর প্রতিনিধি:>>>
নতুন
সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে যশোরের শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এর
ফলে যশোর থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়েগেছে। পুর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ
করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
জানা
গেছে, সড়ক আইন ২০১৮ সংশোধনসহ ১০ দফা দাবিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে
যশোর অঞ্চলের ১৮ রুটে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতিতে নামেন পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল
থেকে ১৮ রুটে ধীরে ধীরে যান চলাচল কমতে থাকে। দুপুরের পর তা এক রকম বন্ধ
হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিকে,
দিনভর অচলাবস্থার পর রাতে যশোর কোতয়ালি থানায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে
বৈঠকে বসে পুলিশ প্রশাসন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা
সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সোমবার যান চলাচলের সিদ্ধান্ত জানালেও শ্রমিকদের
অবস্থান পরিষ্কার করেনি।
যশোরের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিকদার সালাউদ্দিন জানান, রাতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক
প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা সোমবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের
আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে
শ্রমিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা নতুন সড়ক আইনের শাস্তির খড়্গ মাথায় নিয়ে
রাজপথে যেতে চাইছেন না। বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি
মামুনুর রশীদ বাচ্চু বলেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতি মালিক ও শ্রমিকদের কোনো
সংগঠন ডাকেনি। ফাঁসির দড়ি নিয়ে শ্রমিকরা পরিবহনে কাজ করতে রাজি নয়। তাই
তারা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছে। এটা কোনো ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের পূর্ব
নির্ধারিত কর্মসূচি নয়। পরিবহন শ্রমিকরা ইচ্ছামতো কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের
সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ
সম্পাদক মোর্তজা হোসেন জানান, শ্রমিকরা কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে না।
অথচ অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার জন্য নতুন প্রণীত সড়ক আইনে তাদের ঘাতক বলা হচ্ছে।
তাদের জন্য এমন আইন করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসীদের জন্য প্রযেজ্য। শুধু তাই
নয়, এ আইনের অনেক ধারার ব্যাপারেই শ্রমিকদের আপত্তি রয়েছে, যা সংশোধন
জরুরি। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই শ্রমিকরা আপত্তি জানিয়ে আসছে। তবে সরকার
সমাধানের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সাধারণ শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় বাস চলাচল বন্ধ
করে দিয়েছেন।
এদিকে পুর্ব
ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপারে পড়েছেন
যাত্রীরা। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা বাস টার্মিনালে এসে আটকে পড়েছেন। এ
ব্যাপারে তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment