রেখা মনি, রংপুর:>>>
রংপুর নগরীর ক্রিকেট গার্ডেন অফিসে ফুলু বাবুর্চির স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর ২০১৯ দিবাগত রাতে রাধাবলভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কে ফুসলিয়ে রংপুর সরকারি ক্রিটের গার্ডেন অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে লম্পট হামিদ।
অভিযোগ উঠেছে, অত্র এলাকাধীন আসাদ মিয়া, ২৭ কে এই ধর্ষণের বিষয় ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে ক্রেডিট কার্ডেন অফিস কক্ষের গেটে বেশ কিছু লোকের সমাগম দেখে আমি সেখানে যাই, গিয়ে দেখি আমার পরিচিত দুইজন ব্যক্তি গেটে দাঁড়িয়ে আছে। এর কিছুক্ষণ পরে ধর্ষিতাকে অফিস রুমের হামিদ মিয়ার কক্ষ থেকে বের হতে দেখি, এরপর একজন সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী সূরভী বেগম সেখানে আসেন।
মেয়েটিকে আইনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ধর্ষিতা মেয়ের বাবাকে ডেকে নিয়ে এসে তার হাতে বুঝিয়ে দিতে চাইলে, উক্ত ঘটনায় ফুল মিয়া মেয়েকে ত্যাজ্য করবে বলে অফিস কক্ষে রেখে চলে যান। পরে উক্ত ধর্ষিতা মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে তুলতে রাজি না হওয়াই ইমন, সুমন ও ধর্ষকের বড় ভাই হুমায়ুন ধর্ষিতার বড় ভাই বাবুকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের বাডির ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে অনুরোধক্রমে আশ্রিতা অবস্থায় রেখে যান।
ঘটনার বিষয়ে ধর্ষিতা শামীমা আক্তার ফুলতির নিকট জানতে চাওয়া হলে, সে বলে, আমাকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধর্ষক হামিদ জরুরী কথা আছে বলে আমাকে ডাকেন। আমি তার অফিসে গেলে আমাকে রুমে আটকে রেখে আমর ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাতভর ধর্ষণ করে হামিদ।
আমি এর সঠিক বিচার চাই। ঘটনার সত্যতার বিষয় অফিস পিয়ন শামীমের নিকট এই ধর্ষণের বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ছোট চাকুরি করি, সব কিছু দেখেছি, শুনেছি, কিন্তু বলতে পারবো না। অফিস কক্ষের গেটে তালা কে খুলে দিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন হামিদ স্যারের কাছে চাবি থাকে।
উক্ত বিষয়ে ধর্ষিতার বড় ভাই বাবু বলেন, ক্রিকেট গার্ডেনের কর্মরত শাকিল ভাই ও ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী সূরভী বেগম ধর্ষিতার মেয়ের ভবিষ্যত করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন, দেখি কি হয়! এ বিষয়ে সূরভী বেগমকে মুঠো ফোনে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
ক্রিকেট গার্ডেনের দায়িত্বরত শাকিল সাহেব কে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেননি। ক্রিকেট গার্ডেনের আরেক কর্মকর্তা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল সাহেবকে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি শুনেছি ঘটনা বিষয়, তবে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বাবা ফুলু বাবুর্চিকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি ১৯নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাহমুদুর রহমান টিটু সাহেবকে বলেছি, এ বিষয়ে তিনি মিমাংসা করে দিবেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment