এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় আর্থিক অসচ্ছল পরিবারের মাজে জন্ম নেওয়া মেধাবী প্রতিভা এই দুই ভাই বোন।বন্ধের পথে মেধাবী ভাই-বোনের পড়ালেখা।সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া সুমাইয়ার ভর্তি অনিশ্চিত, অসুস্থ অবস্থায় পিতার বুক পাটানো আফসোস বোবাকান্না।
উল্লেখ্য মেধাবী এই দুই ভাই-বোন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়নের ঈশানচন্দ্রনগর গ্রামের ছমির উদ্দিন সামাদের সন্তান। ছমির উদ্দিন মাইক্রোবাস চালিয়ে উপার্জনকৃত অর্থ দিয়ে সংসারের ভরণ-পোষণের পাশাপাশি ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ বহন করতেন।
সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারেন না।সামাদের ছেলে শাহাদাত হোসেন ও সুমাইয়া আক্তার। শাহাদাত বীরচন্দ্রনগর মাদরাসায় দাখিল ও আলিম শেষে ২০১৬-১৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তি হয়।
আর সুমাইয়া আক্তার আমানগন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ২০১৯-২০ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চান্স পেয়েছে। উভয়ে তাই ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। টাকার অভাবে ঢাবিতে ভর্তির জন্য চান্সপ্রাপ্ত মেয়ের ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তিনি।
ছমির উদ্দিন জানান, ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অসুস্থ্যতার কারণে কোন কাজ ঠিকমত করতে পারছি না। তাই অর্থ সঙ্কটে ভুগছি। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত মেয়ে সুমাইয়াকে অর্থ সঙ্কটের কারণে ভর্তি করাতে পারবো কি না সংশয়ে আছি। সরকার বা সমাজের বিত্তবান কেউ এগিয়ে আসলে উপকার হতো।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমার একটি কিডনী বিক্রি করে হলেও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। কিন্তু একজন ডাক্তারের সাথে আলাপ করলে তিনি আমার কথায় সাড়া দেননি। ডাক্তার বলেছেন,সমাজে এত বিত্তবান লোক থাকতে তোমার সন্তানের পড়ালেখার খরচের সমস্যা হবে না।
এদিকে সরকার বা সমাজের বিত্তবান কেউ ছমির উদ্দিনের মেয়ের ভর্তি বা পড়ালেখার খরচ বহন করতে চাইলে তাঁর ০১৮২৪৫৬৮১৭২ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
আসুন আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে এই দুটি মেধাবী প্রদীপ আলোকিত করি,পোস্ট টি ভাইরাল করার দায়িত্ব আপনাদের, হয়তোবা আপনাদের একটি শেয়ার কাংখিত স্থানে পৌছাবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment