![]() |
এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
সারাদেশে চলমান লবণের গুজবে ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট।কেউ জেনে কিংবা অজানাতেই চালিয়ে যাচ্ছে অপপ্রচার। আর এই অপপ্রচার টি সুযোগ নিয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা জনসাধারণের নিকট থেকে কৌশলে নিয়ে যাচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ, বিষয়টি বেশীক্ষণ করার সুযোগ হয়নি তাদের, স্থানীয় গণমাধ্যম সংবাদ কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের নিকট জানিয়ে দেয়।সংবাদ কর্মীদের দেওয়া খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুরো পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য চৌদ্দগ্রামে লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উপজেলার ৭ প্রতিষ্ঠানকে দুই লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি দামে লবণ বিক্রি করতে থাকে। আর এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র উপজেলায়। সাধারণ মানুষ মুদি দোকানগুলোতে লবণ ক্রয় করার জন্য ভীড় জমায়।
অনেক দোকানে গ্রাহকের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন মুদি দোকানে লবণের খোঁজ-খবর নিতে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। অনেক দোকানদার বলে-তাদের কাছে লবণ নেই। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি লবণ ১০০ টাকার উর্ধ্বে বিক্রি হতে থাকে।
বিষয়টি সংবাদকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানাকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানকালে তিনি চৌদ্দগ্রাম বাজারের সাহা স্টোরকে ২০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা, রাসেল স্টোর ৩০ হাজার টাকা, আনন্দ বেকারী ৩০ হাজার টাকা, ইব্রাহিম স্টোর ৩০ হাজার টাকা, মেসার্স বশর স্টোর ১০ হাজার টাকা, শ্রী হরি ভান্ডার ৫০ হাজার টাকাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে দেখে সাধারণ মানুষ প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, ‘লবণের প্যাকেটের গায়ে মূল্য দেয়া থাকে। কেউ বেশি দামে লবণ ক্রয় করবেন না। যদি কোন ব্যবসায়ী প্যাকেটের গায়ের মূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্য দাবি করে, তাহলে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরিচালনার সাথে সাথে মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যে চৌদ্দগ্রাম পৌর সদর বাজারে লবণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
No comments:
Post a Comment