একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধায় আজ রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) - এর জন্মবার্ষিকী ও উফাদ দিবস উৎযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মিলাদ -মাহফিল, আলোচনা সভা, হাম, নাত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কারাগারের বন্দীদের, এতিমখানা ও হাসপাতালে উন্নত মানের খামার পরিবেশন।
এ উপলক্ষে গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনাতয়নে আলোচনা সভায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আজমল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মতিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গওহারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, শাহ বাঙ্গাল কৌওমী মাদ্রাসার মুহতামিম মওলানা মুফতি মো: জোবায়ের আহমদ, সুখনগর জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ মুফতি হারুন-অর-রশিদ, সাংবাদিক সরকার মো: শহীদুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, এই দিনটিতে ৫৭০ সালে হিজরি পঞ্জিকার রবিউল আউয়াল এর ১২ তম দিবসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সৌদি আরবের মক্কায় মানবজাতির জন্য ফরারহবশিক নেয়ামত এবং শান্তির বার্তা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। পবিত্র মিলাদুন্নবী বিশ্ববাসীর, বিশেষত মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ও গৌরবময় দিন।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পাপ, নিপীড়ন, মিথ্যাবাদ, কুসংস্কার এবং নৈরাজ্যের বিশ্বে মুক্তিদাতা এবং উদ্ধারকর্তা রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর আদর্শ সকলের জীবনকে আলোকিত ও তাদের হেদায়েত হতে পারে এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর আদর্শ অনুসরণে মুসলমানদের জন্য অন্তহীন কল্যাণ, সাফল্য ও শান্তি বয়ে আনবে। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
এই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক ইমাম, খতিব, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বয়ে যাওয়া বুলবুলের আঘাতে সরকারি পদক্ষেপের ফলে জান মালের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ও দেশের সুখ সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment