রাবিতে দুই দিনব্যাপী খরা সম্মেলন শুরু - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 23 November 2019

রাবিতে দুই দিনব্যাপী খরা সম্মেলন শুরু


একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী খরা সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি) মিলনায়তনে 'পরিবর্তন' ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনটিটিউটের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘নদী ও পানি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন চাই’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদন করতে তিন হাজার লিটার পানির দরকার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত গভীর নলক‚পের কারণে এখন বোরো চাষ করা যাবে। তবে বরেন্দ্রের মাটিতে আখ, কাজুবাদাম, কপি চাষ করা যাবে বলে কৃষি গবেষকরা এমনটায় জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পানি দিয়েই মানব সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি থেকেই সব জীবনের সৃষ্টি হয়েছে। পানির অধিকার, পানির উপর নিয়ন্ত্রণ করা অন্যায় নয় মহাপাপ। মানুষদের পানি থেকে বঞ্চিত করা এটা প্রচন্ড অপরাধ।  তাই সব কৃষকের জন্য পানির সমবণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। পানির জন্য কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা যদি সবাইকে শিক্ষিত দাবি করি তাহলে পানির অধিকার সবাইকে রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম.আব্দুস সোবহান বলেন, পানি নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এর একটি হলো অনাবৃষ্টি ও আরেকটি অতিবৃষ্টি। না থাকাটাও যেমন সমস্যা অতিরিক্ত থাকাটাও তেমনই সমস্যা। নদীর নাব্যতার কারণে বরেন্দ্র এলাকায় পানি থাকছে না। ভারত যখন পানি দিচ্ছে তখন পানি বেশি হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর যখন পানির দরকার তখন পানি দিচ্ছে না তখন চাষাবাদের সমস্যা হচ্ছে। 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৫০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাতে খরা মৌসুমে পানি ধরে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়েছে। খরা দূরীকরণে নদীর নাব্যতা সৃষ্টি করে ও পুকুরগুলোতে বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ বিজ্ঞান ইউটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির  সাত্তার।
স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ রিপন, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ একশন এইডের ম্যানেজার শমসের আলী। 
এসময় খরা ও সরকারী নীতিমালা: প্রেক্ষিত উত্তরাঞ্চল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের  অধ্যাপক এন.কে নোমান। এসময় খরা পিড়িত কৃষকরা বক্তব্য দেন।
আগামীকাল রবিবার দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী পদ্মারপাড়ে ‘খরা এবং নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষের এক সমাবেশে’র আয়োজন করা হয়েছে।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages