একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:>>>
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকায় আধিপত্য অক্ষুন্ন রাখতে উঠতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে ওই এলাকার কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের পরিকল্পনায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।=
চলতি বছরের (২০১৯) ৭ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।=
তদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহির হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে নগর।=পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন।=
অভিযোগপত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির একজন নেতাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।=
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে যে, ঘটনার কয়েক মাস আগে মহিউদ্দিন সোহেল বাজার এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় নিজের অফিস চালু করেন। রেলওয়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জানাজার মাঠ অবৈধ দখলমুক্ত করেন। পুলিশের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে পাহাড়তলী বাজার এলাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করেন। এতে সাবের ও ওসমানের মধ্যে তাদের আধিপত্য হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়। তারা মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে খুন করে গণপিটুনি বলে প্রচার চালানো হয়।=
তদন্তকারী কর্মকর্তা জহির হোসেন বলেন, বেশী কিছু বলতে পারব না শুধু এটুকু বলতে পারব যে- তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।=
হত্যার পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে সাবের ও ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।=
পুলিশ পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন, অভিযোগপত্র প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছি। ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন পলাতক আছেন। ৩৫ জন ঘটনার পর বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদিসহ ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।=
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। সেটা আমরা যাচাই বাছাই করে আদালতে দাখিল করব।=
একুশে মিডিয়া/এমএসএ=
No comments:
Post a Comment