ঝিনাইদহ
শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের ছোট গাবলা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল
ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এ
ঘটনা ঘটে। পরে বাড়ির পার্শ¦বর্তী একটি ধানক্ষেত থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে
অভিযুক্ত ধর্ষক রিফাত (১৭)। সে ওই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
ধর্ষণের
শিকার শিক্ষার্থী বলেন, তার বাবাকে ডাকতে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। সে সময়
একই গ্রামের রিফাতসহ তিনজন তার মুখ বেঁধে পাশের মাঠে নিয়ে খারাপ কাজ করে।
মুখবাঁধা থাকায় রিফাত ছাড়া বাকি দু-জনকে সে চিনতে পারেনি।
ধর্ষিতার
বাবা জানান, রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়ে ঘরে নেই। এরপর সবাই মিলে খুঁজতে
থাকি। পরে বাড়ির পাশের একটি কলাক্ষেতে মেয়েটির কাপড় পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের
অন্যান্য লোকদের নিয়ে অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ধানক্ষেতে মেয়েটিকে মুখ বাধা
অর্ধনগ্ন অবস্থায় পায়। এরপর সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর
হাসপাতালে ভর্তি করি। যারা আমার মেয়ের এতো বড়ক্ষতি করল আমরা তাদের কঠোর
শাস্তি চাই।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত
চিকিৎসক ডা: নাইম সিদ্দিকী জনান, মেয়েটি ধর্ষণ কেস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
হয়েছে। তার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য পরীক্ষা শেষে বলা যাবে
প্রকৃতই সে ধর্ষণ হয়েছে কি না এবং তার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা জানান, ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ
শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায়
থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নাম্বার ১৯। ধর্ষক রিফাতসহ তার সহযোগীরা
পলাতক রয়েছে। চেষ্টা করছি তাদের আটক করতে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment