প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে বক্তব্য দেওয়া সাবেক ছাত্রনেতার করুণ চিত্র! - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 19 November 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে বক্তব্য দেওয়া সাবেক ছাত্রনেতার করুণ চিত্র!


এম এ হাসান কুমিল্লা:>>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে একসময় বক্তব্য দেওয়া সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোতাহার হোসেন রানা আজ পুরাতন ছেরা শার্টে টুপি মাথায় জরাজীর্ণ দর্শক সারিতে।অথচ যে সভায় এই মোতাহার হোসেন এর মত ত্যাগী নেতার করুণ চিত্র,সে সভায় স্টেজে বসা অসংখ্য নেতা  তারই হাতে তৈরী, আফসোস কোন নেতাই এসে ডেকে নিয়ে বসালোনা স্টেজের কোন একটি সারিতে।বড়ই দূর্ভাগা মোতাহার হোসেন রাজনীতি করা অতীত সময়ে ছিলনা একটি সেলপি, কিংবা ফেইসবুক আইডি।
বলতেছিলাম অনেক পুরাতন শার্ট, টুপি পরিহিত ও আশাহীন চোখে তাকিয়ে থাকা ছবির জরাজীর্ণ এই মানুষটির নাম- মোতাহার হোসেন রানা। (সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
সাবেক সভাপতি, কবি জসিম উদ্দিন হল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, মিরশ্বরাই থানা ছাত্রলীগ)। ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি।চট্টগ্রামের মিরের সরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকার বাসিন্দা মোতাহের হোসেন রানা স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে বড় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।তিন ছেলে তিন মেয়ে পড়াশোনা করছে।
মোতাহের হোসেন রানার সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন চেয়ে নগরের কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। যাতে তিনি বলেছেন-তখন ফেইসবুক ছিলোনা,আমরা যখন ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করি–তখন ফেসবুক ছিল না।কিন্তু আজকের এই সময়ে যে সকল নেতৃবৃন্দ এই উপজেলায় রয়েছে তাদের মধ্যে অসংখ্য কর্মী এই মোতাহার হোসেন এর হাতে তৈরি।
মিরসরাই থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (মাইনুদ্দিন – ইকবালুর রাহীম)।১৯৯০ দশকে স্বৈরাচার এরশাদেরবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন তিনি। আমার নিজেরও স্পষ্ট মনে আছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জ্বালাময়ী ভাষণের স্মৃতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  সামনে তিনি ৫ মিনিট বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
বক্তব্য শুনে নেত্রী এতো খুশি হয়েছিলেন তার নাম-ঠিকানা মঞ্চে সবার সামনে ডায়েরিতে টুকে নিয়েছিলেন।ছবির এ উদভ্রান্ত, ভগ্ন শরীরের, দারিদ্র্যের ছাপযুক্ত এই মানুষটিই সেই মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রানা৷ গত ১৬ নভেম্বর ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল।…তারই ভিড়ে একাকী দর্শকের চেয়ারে পাবলিক হয়ে বসেছিলেন একসময়ের তুখোড় নেতা রানা ভাই।
সভামঞ্চে তার হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধাদের অনেকেই থাকলেও কেউ তার খবর নেননি, কেউ বলেনি আপনি স্টেজে আসুন। দলের সুদিনে অতীতের এরকম একজন ত্যাগী নেতার পাশে কি আমরা দাঁড়াতে পারি না?…একজন রাজনৈতিক কর্মীর শেষ জীবনের এরকম করুণ পরিণতি আমাদের কারোরই কাম্য নয়।যোবাইদুল হক রাসেল (সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ) লিখেছেন, ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাতারের নেতা ছিলেন রানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক সভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে ৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সভামঞ্চে তার বক্তব্য শুনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা খুশী হয়ে তার নাম, ঠিকানা ডায়রীতে টুকে নিয়েছিলেন সেদিন।১৬ নভেম্বর মিরশ্বরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ছিল।
উপস্থিত দর্শকের সারিতে চেয়ারে এমন অসহায় হয়ে বসেছিলেন একসময়ের মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোতাহার হোসেন রানা ভাই। কিন্তু সভামঞ্চে তারই হাতে গড়া কর্মী, সহযোদ্ধা অনেকে থাকলেও কেউ তার খবর রাখেনি।রাজনীতিতে অর্থ-বিত্ত না থাকলে দাম নাই। টাকা-পয়সা না থাকলে টিকে থাকা যায় না। সংগ্রাম আর ত্যাগের এটাই সত্য। জয় হোক রানা ভাইয়ের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সারা বাংলার সকল মুজিব প্রেমী কর্মীদের।
ধিক্কার জানাই সেসকল নেতাদের যাদের চোখের দৃষ্টি তে নেই মোতাহের হোসেন রানার মত ত্যাগি নেতার জীবনের পরিস্থিতি।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages