মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারু মিয়ার পরিবার! - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 18 December 2019

মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারু মিয়ার পরিবার!


প্রতিবেদক-এনামুল কবির (মুন্না):>>>
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পেয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে, খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছেন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া (আবু তাহের) এর পরিবার। মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তারু মিয়া (আবু তাহের) এর নামের পূর্বে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁর পরিবার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
Add caption
শহীদ গেজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া (আবু তাহের) এর নামের পূর্বে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বরাবরে আবেদন করেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার ভাই মো. গনি মিয়া। আবেদন গ্রহণ করে তাতে স্বাক্ষর প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটের উপ-কমিটিকে ‘শহীদ’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হোক। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশের আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার নামের পূর্বে এখনো 'শহীদ' লাগে নি। যার ফলে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এখনো মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ভাতাও পাননি। 
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া (আবু তাহের) সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের  কেম্পেরঘাট গ্রামের মৃত রোছমত আলীর পুত্র। তাঁর গেজেট নং- ৩৫৩৬, মুক্তিবার্তা নং- ০৫০২০৯০৩৬২, কল্যাণ ট্রাস্ট নং- ২৪৪৬১, জাতীয় তালিকা নং- ২৫৯। 
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাই গণি মিয়া জানান- তাঁর ভাই ভারতের মেঘালয় প্রদেশের ইকোয়ান নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ৫নং সেক্টরের চেলা সাব-সেক্টর মেজর মুসলে উদ্দিনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বড়ছরা টেকেরঘাট নামক স্থানে পাক-বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। 
তিনি কান্নাজড়া কন্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য লড়ে জীবন দিয়েছেন। অথচ আজ আমরা সরকারের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি।’ 
জানা যায়- ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবজিৎ সিংহ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার স্ত্রী শাফিয়া বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে উল্লেখ করেন, তারু মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং ৭১ সালের রনাঙ্গণে যুদ্ধে শহীদ হন। পরে বিগত ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে শাফিয়া খাতুনকে স্ত্রী উল্লেখ করে তাকে সম্মানী ভাতা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ করে একটি চিঠি প্রদান করা হয়। 
সরকারি সকল দপ্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তারু মিয়া (আবু তাহের) এর নাম থাকা স্বত্ত্বেও নামের পূর্বে ‘শহীদ’ না থাকায় ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়া (আবু তাহের) এর ভাই বোন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তারু মিয়ার ভাই মো. গনি মিয়া।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages