মোঃ মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার):>>>
কক্সবাজার জেলহাজত থেকে সদ্য কারামুক্ত কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন, একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান কুতুবদিয়ায় আগমন উপলক্ষ্যে বিশাল গণসংবর্ধনা ও শোকরাণা র্যালী’র আয়োজন করে কুতুবদিয়ার নাগরিক কমিটি। ইউপি চেয়ারম্যান ছোটন কক্সবাজার থেকে বড়ঘোপ ঘাটে পৌঁছলে, স্থানীয় সাধারন জনগনসহ কুতুবদিয়ার হাজার হাজার জনতা ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। গরীবের চেয়ারম্যান ছোটনকে এক সপ্তাহ পর কাছে পেয়ে বড়ঘোপ ঘাট থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ মার্কেট, লামার বাজার, উপজেলা গেইট, মেডিকেল গেইট, কলেজ গেইটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সত্যের জয়ের বিভিন্ন স্লোগানে শোকরাণা আনন্দ মিছিল করে সাধারন জনগন। মিছিলে যোগ দেয় সাগর কন্যা দ্বীপ কুতুবদিয়ার কৃষক, রিক্সা শ্রমিক, দিন মজুর, নির্যাতিত নারী, অসহায় গরীব-দুঃখি মানুষ, আলেম-ওলামা, সচেতন মহল, বেসরকারি চাকুরিজীবী, হিন্দু সমাজ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী, জাতীয় যুব সংহতির নেতাকর্মী, জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।
মিছিল শেষে বড়ঘোপ উপজেলা গেইটস্থ মাঠে এক বিশাল গণসংবর্ধনা বড়ঘোপ ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্টানটি কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন বলেন- নির্বাচনী এলাকার কাজ করতে গিয়ে আমি কোন অন্যায় কাজ করিনাই। তারপরও যে ঘটনাটি ঘটেছে যার জন্য আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমি মনে করি, আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি, তাহলে তার থেকে আমি শিক্ষা নেব। আর যদি আমি কোন অন্যায় না করে থাকি। তাহলে আমি মনে করব, আল্লাহ আমাকে জেল-হাজতে পাটিয়েছেন, কিছু শেখার জন্য। সেই শিক্ষাটি নিয়ে আমি আপনাদের সম্মূখে এসেছি। যে জেলখানার ভিতরে আমার কুতুবদিয়ার একশত মানুষ আছে। তারা কিভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, কিভাবে অবহেলিত হচ্ছে। তাদের অনেকেরই কাপড়-চোপড় নাই, অনেকের লুঙ্গি নাই, আবার অনেকের খাবারের অসুবিধা। হয়তো সেগুলো দেখার জন্য আল্লাহ আমাকে জেলাহাজতে পাটিয়েছেন। সেজন্য আমি আল্লাহ’র নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যারা আমাকে জেল- হাজতে পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা যেভাবে হউক একটা পন্থায় কিছু শিখার জন্য আমাকে আল্লাহ রাব্বুলয়ালামিনের সহযোগিতায় জেলাখানায় পাটিয়ে ছিল। আমার কোন দুঃখ নাই, বরং আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকব।
কুতুবদিয়ার একশত জনগন জেল হাজতে আছে। তাদেরকে দেখার জন্য সুযোগ দিয়েছে। আমি তাদের কারামুক্তির জন্য নির্দোষ ব্যক্তিদের জন্য সহযোগিতা করতে পারি। তিনি আরো বলেন- আমি আপনাদের সন্তান এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন, আমার দ্বারা কোন খারাপ কাজ হবেনা, কোন অন্যায় হবেনা, কেউ আমাকে খারাপ কাজে পরিচালিত করতে পারবেনা, কেউ আমাকে কঠিন করে কোন অন্যায় আবদার রক্ষা করার জন্য সুপারিশ করে আদায় করতে পারবেনা। সে বিশ্বাস আপনারা আমার উপর রাখতে পারেন। এছাড়াও তিনি- মানুষকে কোন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি না করার জন্য জনগনের প্রতি আহবান জানান। যারা মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে গিয়েছেন তারা খুব কষ্টে আছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে করাবন্দিদেরকে কারামুক্ত করে সুন্দর জীবন-যাপনে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ারও আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টি, কুতুবদিয়া উপজেলা সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মোনাফ, ইউপি মহিলা সদস্য- লাইলা বেগম, শরমিন আকতার উর্মি, শাহানা বেগম, মাহাবুব আলম, নাছির উদ্দিন, আশরাফ আলী, রেজাউল করিম, মোরশেদ আলম মুকুল, সাংবাদিক হাসান কুতুবী, জাতীয় যুব সংহতির উপজেলা সাধারন সম্পাদক নিয়ামতুল করিম সিকদার, সহসভাপতি আবু আহমদ, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সাবেক সভাপতি ছরোয়ার আলম বাদশা, জাতীয় ছাত্র সমাজ কুতুবদিয়া উপজেলার সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, ফোরকানুল ইসলাম, কুতুবদিয়া টেকনিক্যাল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ও উপজেলা সদস্য আসিফুর রহমান ফাহিম, বড়ঘোপ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শহীদ ছোটনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি মানুষ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment