মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধা জেলার ৭ টি উপজেলার সর্বত্র গত দু’দিন থেকেই হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পড়েছে। দু' দিন থেকে সূযের দেখা নাই। এ কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ম আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। তারা কাজ কর্মে বের হতে পারছেন না। বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী পযায়ে যে সব শীত বস্ত্র জেলা ও উপজেলা পযায়ে বিতরণ করা হচ্ছে তা চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল।
বুধবার থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টা পযন্ত এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত জেলার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা গাইবান্ধা জেলা। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঘন কুয়াশা ঝড়েছে।
হঠাৎ শুরু হওয়া এই শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে। এছাড়াও পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর উপজেলার দরিদ্র মানুষ গুলো শীতে বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট বেশি পাচ্ছে। শীত জনিত রোগও বেড়েছে। জেলা এবং উপজেলা শহরের গরমের কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে তারা দামও হাঁকছেন বেশি। জেলা শহরের গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছেন।
ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষক বানানোরও হিড়িক পড়েছে জেলা জুড়ে।
ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে অনেকে দিনের বেলায় গাড়ির হেড লাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল, আটোর কালাইয়ের ফুল, শীম গাছের, লাউ গাছের ফুঁল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে। আলুর গাছেরও একই অবস্থা।
গাইবান্ধা জেলায় শীতকালে দরিদ্রশ্রেনীর মানুষ গুলো ব্যাপক শীতের দূর্যোগ পোহাতে হচ্ছে ও মানববেতর জীপন যাপন করতে হচ্ছে। জেলার দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণে জরুরী ভিত্তিতে শীতবস্ত্রের সহায়তা প্রয়োজন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment