মোঃ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম:>>>
চট্টগ্রামে হঠাৎ আবির্ভাব ঘটেছে হাড়-কাপাঁনো শীতের। দুর্ভোগে পড়েছে গ্রাম শহরের বসবাসকারী উভয় জনসংখ্যা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু ওয়া শৈত্যপ্রবাহ চলছে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত-এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, ‘দেশজুড়ে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকার ফলে সূর্যের আলো কম পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে রাতে। এতে রাতের বেলায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে।
উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তিনি বলেন, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে, এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। জানুয়ারি মাসের শুরুতে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানানো হয়, চলতি ডিসেম্বরের শেষদিকে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) মাসে দেশের ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং দু’টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস। শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হবে জানুয়ারি মাসেই। ফেব্রূয়ারির মাঝামাঝি গিয়ে শেষ হবে বাংলা বর্ষপঞ্জির মাঘ মাস।
তবে এবার তুলনামূলকভাবে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্বকাল বেশি হতে পারে। যাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছু কম-বেশি হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন। শীতের তীব্রতায় খড়কুটোর আগুনে উষ্ণতা খুঁজে ফিরছেন গ্রামাঞ্চলের শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ। শীত নিবারণে বাজারে লেপ-তোষক আর চাদর-কম্বলের সঙ্গে সোয়েটার-জ্যাকেটের মতো গরম কাপড়ের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment