একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:>>>
লেখিকা-ফাতেমা আক্তার নওমি:
সীমান্ত নেশায় আসক্ত হয়ে গেছে। একা একাই তো পথ চলা ভালো ছিল। এমন কিছু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে আজ সেই পাগল ছেলেটা আসক্ত হয়ে গেছে। এখন আর বুয়ার হঠাৎ চমকে ওঠা গাঁজার পোটলার মতো না। মাঝে মাঝেই নানারকম নেশা দ্রব্যাদি পাওয়া যায় ওর রুমে।
যেই ছেলেটা কয়েকটা মাস পেড়ুলে অন্য মানুষকে ট্রিটমেন্ট করাবে। আজ নাকি তারই ট্রিটমেন্টের খুব প্রয়োজন।
রিতা ও সুমন সাহেব দুজনেই খুব টেনশন এ থাকে আজকাল।
এদিকে অনেক সাইকো ট্রিটমেন্টনার এর সাথেই কথা হয়েছে। তাদের সাথে তো সীমান্ত দেখা করা দূরে থাক কথাই বলতে চায় না।
সব কিছু থেকেই মোটামুটি ব্যর্থ হয়ে সুমন ও রিতা একজন ভালো মাওলানার নিকট শরণাপন্ন হলেন। তিনি ছিলেন পাশেই মসজিদের ইমাম। মাগরিবের নামাজ শেষ করে তিনি নিজেই সুমন সাহেবের বাসায় আসলেন। সীমান্ত অবশ্য বাসায় ই ছিল।
চা খেতে খেতে হুজুর বললেন,
--কোথায়? সে কোথায়? ডেকে আনেন তাকে। আমি কথা বলি।
সুমন ছেলের রুমে গিয়ে দরজা নক দিল। ভিতর থেকে সাড়া পেয়ে বললো,
--একটু ড্রয়িং রুমে আয় তো। দরকার ছিল।
সীমান্তঃ কেন? নতুন আবার কাকে নিয়ে আসলে? আবার ড্রামা!
সুমনঃ তুই এসেই দেখে যা। আর হ্যাঁ ভদ্রভাবে আসবি।
সীমান্তঃ আরে যাও, যাও। ওইসব ভদ্রলোকদের আমার জানা আছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সীমান্ত ড্রয়িং রুমে আসে। মসজিদের ইমাম সাহেবকে দেখে কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায়। সালাম দিয়ে হুজুরের কথামতো সোফায় বসে।
ইমামঃ তুমি তো বেশ ভালো ছেলে। এলাকার সবাই বলে এটা কি তুমি জানো?
সীমান্তঃ জানা ছিল না। এখন জানলাম।
ইমামঃ (একটু হেসে) ডাক্তারি পড়ছ। ক্যারিয়ার ভালো। মাশাল্লাহ দেখতেও সুন্দর তুমি। নামাজ পড়?
সীমান্তঃ পড়ি প্রতি শুক্রবার।
--একটা কথা দিবে আমাকে?
--দয়াকরে বাবা-মায়ের মতো উপদেশ দিবেন না।
---না উপদেশ দিব না। তবে একটা অনুরোধ করবো।
আজ এশার ওয়াক্ত থেকে নামাজ পড়া শুরু কর।
--ধন্যবাদ। চেষ্টা করে দেখবো।
--চেষ্টা নয়। তুমি এখনই আমার সাথে চল। কিছুক্ষণের মধ্যেই নামাজের সময় হয়ে যাবে।
সীমান্ত যাওয়ার জন্য ওঠে দাঁড়ালো।
---চলেন।
ইমাম বললো,
--- হ্যাঁ , চলো। তোমার বাবাকে ও ডেকে নিয়ে আসো। বল, "বাবা চলো নামাজ পড়তে যাই৷"
সুমন সাহেব ও সাথে গেল। বাবা ছেলে আর ইমাম মসজিদের দিকে গেল। .
পরদিন সকালবেলা সীমান্তর পরিবর্তন পেল না। নাক ডেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছে। না, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজটা পড়ে নি নিশ্চিত।
চাপিং বোর্ডে পেঁয়াজ কাটতে কাটতে রিতা সুমনকে বললো,
--- এখন ওর জন্য ভালো একটা মেয়ে কোথায় পাবে? সব কিছু জেনে শুনে এমন নেশাগ্রস্ত ছেলেকে কোনো ভালো মেয়ে বিয়ে করতে চাইবেই বা কেন?
--( একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে) হ্যাঁ , সেটাই তো ভাবছি। আচ্ছা, তোমার পুত্রবধু হিসেবে কেমন মেয়ে পছন্দ?
--আমার পছন্দ আবার কেমন ই বা হবে? ভালো ফ্যামিলির একটা ভালো মনের মেয়ে এইতো। আর হ্যাঁ , দেখতে সুন্দরী হতে হবে। যেন আমার ছেলের পাশে মানায়। বাড়িতে যেন মনে না হয় বউ আছে। মেয়ের মতো হতে হবে। আমার তো মেয়ে নেই।
---তোমার কথা মানছি। তবে, দ্যাখো রিতা একসাথে তো এতো কিছু পাওয়া যায় না। সব দিকে আমরা পারফেক্ট খুঁজলে তো হবে না। আমাদের ছেলেই তো পারফেক্ট না।
--আমার ছেলে পারফেক্ট না মানে? দেখতে হ্যান্ডসাম, ডাক্তারি পড়ছে। ভালো ফ্যামিলির।
---আহ! রিতা কেন বুঝতে পারছো না? তোমার ছেলে নেশাগ্রস্ত।
গতকাল ইমাম সাহেব ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি এটাও বলেছে। মেয়ে যেন গরীব ঘরের হয়। ওরা বাস্তবতা বুঝে আর সব কিছু সামলিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও অনেক বেশি থাকে।
---হুম। আমার আপত্তি নেই। তবে এমন মেয়ে পাবেটা কোথায়? ঘটক লাগাবে?
---না, আমি ঘটক দ্বারা কিছু করবো না। নিজেই খুঁজবো।
--ওকে। খুঁজো তাহলে। সারাদিন তো ঘরেই বসে থাকো। ছেলের জন্য মেয়ে খুঁজে টাইমটা কাজে লাগাও। .
ঘরে বসে থাকার প্রধান কারণ, সুমন সাহেব রিটায়ার্ড হলো কয়েকবছর ধরে। সারাদিন এখন তার ঘর আর পাড়ার চায়ের দোকানে বসে সময় কেটে যায়। একমাত্র ছেলে সীমান্ত। সে যদি বখে যায় তাহলে এই কষ্ট কোথায় রাখবে?
.ছাতাটা মাথায় দিকে কড়া রোদেই বের হলো সুমন।
রিতাঃ কি হলো? এই সময় কোথায় যাচ্ছ?
সুমনঃ বাড়িতে বসে থাকলে কি আর হবে? দেখি কোথাও কোনো পাত্রীর সন্ধান পাই কিনা!
সুমনের এগিয়ে চলার কদম বেশি দূর হলো না। পাড়ার চায়ের দোকান পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
প্রচন্ড গরমে গাঁ বেয়ে পানি পড়ছে।
-- এই রহমান! এই কাপ চা দেও তো।
রহমানঃ কি বলেন,ভাই? এই গরমে চা খাবেন?
--আরে দেও। তুমিও বাড়ির বউ এর মতো তদারকি করো না। আজকাল ডায়াবেটিস এর জন্য তো এক কাপ চা ও জুটে না কপালে। কি আর হবে সুগার বেড়ে গিয়ে বড়জোর মরেই যাবো। সে যাইহোক, বেঁচে তো যাবো। এই চিন্তা থেকে?
_-ভাই আপনার আবার কিসের চিন্তা? যখন জোর ছিল চাকুরী করছেন। এখন রিটায়ার্ড হয়েছেন তাও তো কারো উপর নির্ভর কইরা চলতে হয় না।এখনও টাকা-পয়সা দু হাত ভইরা খরচ করেন।
--( একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে) রহমান, টাকাই যদি সব কিছু হতো। তাহলে আমাদের মন বলে কিছু থাকতো না। ছেলেটাকে নিয়ে টেনশন এ আছি।
--ওহ। আপনার ছেলে সীমান্ত তো যথেষ্ট ভদ্র। কি এমন হইলো?
---ভদ্র। কিন্তু, এখন সে নেশায় আসক্ত। অনেক তো দেখলাম। পারলাম না কিছু করতে। এখন ইমাম বললো ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করাতে। ভালো মেয়ে কোথায় পাবো? গরীব ঘরের।
-- এই কথা? আগে বলবেন না? আমাদের এলাকায় হাইস্কুলটা আছে না! ওখানে ৪ টায় ছুটি হয়। আপনি ৪ টার সময়ই গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। অনেক সুন্দর সুন্দর ভদ্র সুশীল মেয়ে আছে। যাকে আপনার মনে ধরবে তার পিছু নিবেন। সোজা বাসা পর্যন্ত যাবেন। সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিবেন।
--- ভালোই তো বলেছে। এ আইডিয়া তো আমার মাথায়ই ছিল না। .
ব্যস! যেই কথা সেই কাজ। বাসায় এসে গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ল সুমন।
--সীমান্তর মা! আজ বিয়ে ফাইনাল করেই আসবো। ইনশাআল্লাহ।
-- মেয়ে পেয়ে গেছো? দেখতে কেমন বলো না গো?
-- পাই নি। তবে, পেয়ে গেছিও বলতে পারো। .
স্কুল ছুটি হলো। কাউকেই মনের মতো পাচ্ছিনা। ধুর, আমারই তো পছন্দ হয় না। ছেলের হবে কোথা থেকে?
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দেখি, কয়টা বাজে?
৪ঃ১৫ বেজে গেছে। স্কুল তো ফাঁকা প্রায়। মেয়ে তো পেলাম না।
( সুমন চোখেমুখে হতাশার ছাপ নিয়ে, স্কুলের গেটের দিকে তাকিয়েই আছে)
--আংকেল। এই টাকাটা মনে হয় আপনার!
--(ঘুরে তাকাতেই চোখে পড়ল অপরুপ সুন্দরী একটা মেয়ে। আরে, একেই তো আমি খুঁজছিলাম। কোথায় ছিলো এতোক্ষণ।)
হ্যা, মামনি কোথায় ছিলে তুমি?
-- ( একফালি হাসি দিয়ে) আমি তো স্কুলে ছিলাম। গেট থেকে বের হয়ে ৫০০/ টাকার নোটটা আপনার সামনে পড়া দেখলাম। তাই ভাবলাম আপনারই।
--( এখন সুমন চেতন ফিরে পেল) সত্যিই তো। মোবাইল বের করে টাইম দেখতে গিয়েই পড়ে গেছে। (পকেটে সত্যি ৫০০ টাকা নোট টা নেই।)
--( মেয়েটা টাকাটা হাতে দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হলো)
--শুনো, তোমার নাম কি মামনি?
-- আমি দোলন। (একটু হেসে)
-- ( এমনই তো চেয়েছিলাম। অমায়িক একটা মেয়ে) তো মামনি তোমার বাসা কোথায়?
-- ( হাসি দিয়ে) সামনেই আংকেল। ওই সবুজ বিল্ডিংটা।
-- ও। ভাড়া বাসা ওটা?
-- জ্বি। আংকেল। আমরা ভাড়া থাকি।
-- আমিও একটা বাসা খুঁজছি। তোমাদের বাসায় একটু নিয়ে যাবে আমাকে?
-- হ্যা, কিন্তু সব রুমই তো ভরা। কোনো ফ্লাট খালি হবে না।
--অনেক ভালো তো বাসাটা!
--হ্যাঁ ।
--- তাই আমি আগেই কথা বলে রাখতে চাই বাড়িওয়ালার সাথে।
--- কিন্তু, বাড়িওয়ালা তো এ বাড়িতে থাকে না। সে কানাডার প্রবাসী। আমার বাবাই ভাড়া দেয়।
-- ও তাহলে তো ভালোই হলো। তোমার বাবার সাথেই তো কথা বলতে চাই।
-- আচ্ছা। কবে যাবেন?
-- এখুনি নিয়ে যাও। আরেকদিন এসে যদি তোমাকে না পাই।
-- ঠিক আছে। চলেন তাহলে।
সুমন দোলনের সাথেই রওনা দিল।
সুমনঃ আচ্ছা, মামনি এটাই জানা হলো না তুমি কোন ক্লাসে পড়।
--জ্বি। আমি ক্লাস নাইনে।
-- ভালো। গ্রুপ কি তোমার?
--- আর্টস।
চলে আসছি আংকেল। আমরা নিচ তলায়ই থাকি।
বাসার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এরা। রুমে ঢুকার সাথে সাথে একটা চেয়ার এনে দিল দোলন।
আমি বসে বললাম,
-- তোমার বাবাকে আসতে বলো।
--হ্যা। আংকেল ডেকে দিচ্ছি।
কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে এক মধ্যবয়সী লোক বেরিয়ে আসলো।
-- আসসালামু ওয়ালাইকুম।
--ওয়ালাইকুম সালাম৷ এই বাড়িটা আপনি দেখাশোনা করেন তাই না?
--হ্যাঁ । করি। অনেক বছর ধরে থাকি। তাই বাড়িওয়ালা আমাকে এই দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।
--ও আচ্ছা।
--আপনি রুম ভাড়া নিবেন যে। এখানে তো একটা ফ্লাটও খালি নেই।
-- না ভাই। আমি ফ্লাট ভাড়া নিব না। আসলে আমি অন্য একটা ব্যাপারে আসছিলাম।
--অন্য একটা ব্যাপার? সেটা আবার কি?
সুমন দোলনের বাবাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললো। কিন্তু, দোলনের বাবা বিয়ে দিতে নারাজ হলেন। তার প্রধান কারণ হলো, দোলনের অবিবাহিত বড় একটা বোন রয়েছে।
ভদ্রলোক বড় মেয়েকে বাদ দিয়ে ছোট মেয়ে বিয়ে দিবেন না। এটাই স্বাভাবিক।
--আপনি চাইলে আমার বড় মেয়েকে দেখে যেতে পারেন। সে ও বেশ সুন্দরী, ভালো মনের।
--( সুমন ভেতরে ভেতরে একটা চাঁপা কষ্ট অনুভব করলো। সব আশা কি তাহলে শেষ হয়ে গেল। আমার তো দোলনকেই ভারি পছন্দ ছিল। অনেক ভেবে চিন্তে সুমন বলেই ফেলল।) ঠিক আছে তাহলে বড় মেয়েকেই দেখান। আমি দেখেই যাই তাহলে।
---( ভদ্রলোক মুখের কোণে এক চিলতে হাসি দিয়ে ভিতরের রুমে চলে গেল।)
হাতে একটা ট্রে নিয়ে সালাম দিয়ে বসলো মেয়েটি। এই মেয়েটি ও খারাপ নয়। সত্যিই সুন্দরী। কিন্তু, কথায় কথায় দোলনের মতো হাসি দিয়ে কথা বলে না। একটু গম্ভীর। চাঁপা স্বভাবের।
--( সুমন এবার একটু নড়েচড়ে বসলো।) তোমার নাম কি মামনি?
-- জ্বি। আমার নাম দোয়েল।
--বেশ সুন্দর নাম। পড়াশোনা করো তুমি?
-- না আংকেল। তবে হাইস্কুল এ ভর্তি হয়েছিলাম। তারপর থেকে আর পড়া হয় নি।
-- ও আচ্ছা। ঠিক আছে। তুমি আসতে পারো মামনি। আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলছি।
দোয়েল চলে যাওয়ার আগেই মূহুর্তেই হুড়মুড় করে এ রুমে আসে দোলন। আবার একফালি হাসি দিয়ে বলে,
--আংকেল। একা একা চিনবেন তো? সন্ধ্যা হয়ে গেল তো।
--( হাসি দিয়ে) কেন মা। তুমি দিয়ে আসবে।
-- হা হা হা! যাওয়ার সময় বলবেন তাহলে।
এই কথা বলে অন্য রুমে চলে গেল দোলন।
--- মেয়ে তো দেখলেন এবার আপনার মত কি?
সুমনঃ ভাই, এটা তো আমার উপর ভিক্তি করছে না। ছেলের মায়েরও তো একটা পছন্দ - অপছন্দের ব্যাপার আছে। আপনার কন্টাক্ট নম্বর নিয়ে যাচ্ছি। আমার ওয়াইফ আর আমি এসে আর একদিন দেখে যাবো। আগে থেকেই জানিয়ে আসবো। আজ তাহলে উঠি। তবে, যাই বলেন ভাই। দোলন মামনিকে আমার পুত্রবধু করতে পারলেই আমার মনের আশা পূর্ণ হতো।
--দেখুন। আপনার যদি আরেকটা বড় ছেলে থাকতো। তাহলে কি তার আগে ছোট ছেলেকে বিয়ে করাতেন?
-- পরিস্থিতির স্বীকার হলে অনেক সময় অনেক রীতি বাদ দিয়ে চলতে হয়। ভালো থাকবেন।
বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে অনেক সময় ধরে পায়চারি করে চলেছে সুমন।
রাতের রান্না শেষ করে রিতা স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ায়।
--এতো চিন্তা করলে চলবে? আল্লাহ নিশ্চয়ই ভালো কিছু রেখেছেন আমার ছেলের জন্য।
--কিন্ত, আমার তো দোলনকেই বেশ পছন্দ। রিতা।
--আমি বলি কি। কাল আমায় নিয়ে যাও। দেখি আর একটু বুঝিয়ে বলে। আমরা তো মেয়ের মতোই রাখবো দোলনকে।
--আচ্ছা। বলে দেখতে পারো। কোথায় সীমান্ত?
--ও একটু বেড়িয়েছে।
--কোথায় গেছে বলে গেছে?
--হ্যাঁ, একটা স্টুডেন্ট পড়াতে।
-- তোমার ছেলে আবার স্টুডেন্ট ও পড়ায় নাকি?
-- আমি জানতাম না। আজই প্রথম গেল পড়াতে। একটা মেয়ে। বাসা বেশি দূর না। এইচ.এস.সি দিল এবার মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য পড়বে সীমান্তর কাছে।
---এই কথা গুলি কি সীমান্ত বলে গেল তোমাকে?
--- হ্যাঁ,ও না বললে কোথায় পেলাম!
--আচ্ছা আমরা যে ওর জন্য পাত্রী দেখছি,এটা কি ও জানে?
---না বলি নি তো। তুমিই তো বলতে না করেছ।
--হুম। তবে এখন তো চিন্তা আরো হচ্ছে। ও কি মেনে নিবে আমাদের সিদ্ধান্ত?
সীমান্ত কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করছে। অপরদিকে সুহানা কোন মনোযোগ দিচ্ছে না পড়াতে।
--ও হ্যালো, কোথায় হারিয়ে যাও বারবার?
---স্যরি স্যার। আচ্ছা, স্যার আপনি ডাক্তারি পড়ার পর বিয়ে করবেন তাইনা?
-- বিয়ে করবো কিনা জানিনা এ জীবনে। কিন্তু, হঠাৎ তুমি এ প্রশ্ন কেন করলে আমাকে?
---স্যার আমি তো এমনি বলেছি। বলেন না।
---(সীমান্ত সজোরে সুহানাকে দিল একটা ধমক) উফফফফ, চুপ করো। এ ধরনের প্রশ্ন আমাকে আর কখনও করবে না। আমি রসিকতা পছন্দ করি না।
--------চলবে----------
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment