মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:>>>
মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে দোহারবাসী। রবিবার বিকেলে ঢাকার দোহার উপজেলার সরকারি নূরপুর মাঠ সংলগ্ন ঢাকা-দোহার আঞ্চলিক প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে উপজেলার দোহার ঘাটা এলাকাবাসী।
মানববন্ধনকারী সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালের ২৫ জুন নূরপুর মাঠ সংলগ্ন নাদু ভূইয়ার ওয়াক্ফ কৃত মার্কেটে বিসমিল্লাহ ভ্যারাইটিস স্টোরের মালিক মনির হোসেনকে ইফতারি দিতে যায় তার বড় ভাই বিল্লাল হোসেন। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
পরে সংবাদ পেয়ে দোহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের ভেতর থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
দুইমাস পর মিডফোর্ট হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে স্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দিলে নিহতের পরিবার সেটি মেনে না নিয়ে তার দুই বছর পর অর্থাৎ এ বছরের ৮ই আগষ্ট নিহত মনিরের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামী ও সতেরোজনকে স্বাক্ষী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে মানববন্ধনকারীরা জাহাঙ্গীর আলম (জানু) ও তার পরিবারের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা হত্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জোড় দাবি জানিয়ে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের হস্তক্ষেপসহ বর্তমান সরকারের সহযোগীতা চান তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ওই মামলায় স্বাক্ষী আওয়াল মেম্বার, ফেরদৌস মাষ্টার, মোখলেসুর রহমান ও মোঃ রফিক বলেন, আমরা নিহতের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানিনা। প্রশাসনের কেউ আমাদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাও করেনি। অথচ আমাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে। কিভাবে আমাদের স্বাক্ষী করা হল তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিনা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মামলার ১নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম (জানু) বলেন, একটি স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকান্ড সাজিয়ে আমাদেরকে আসামী করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন। আমরা এ মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সরকারের সহযোগীতা কামনা চাই।
এ মামলার আরেক আসামী আরিফ হোসেন মানববন্ধনে জানান, এ ঘটনায় তারা কিছুই জানেন না। নিহত মনির স্বাভাবিক ভাবে মারা গেলেও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা মামলার আসামী করে হয়রানী করছে বলে জানান অারিফ।
দোহার থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যেহেতু মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে ওই দুই পরিবারের মধ্যে অর্থাৎ বিল্লাল গংদের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম (জানু) পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে বলে জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment