প্রতিনিধি-আল আমিন মুন্সী:>>>
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অনিয়মের চিত্র। বিতরণ কেন্দ্রে বসে ভোটারদের কাছ থেকে নামে বেনামে আদায় করা হচ্ছে অর্থ।গত কয়েক দিন ধরে এসব অর্থ আদায় করছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কাজে দায়িত্বরত কয়েকজন অপারেটর। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় স্মার্ট কার্ড না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক ভোটারদের।
জানায় যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে পলাশ উপজেলায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে পলাশ শিল্পাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উপজেলার পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ডের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। আর এই কার্ড বিতরণের শুরুতেই উঠে এসেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি নিয়ে গিয়েও স্লিপ হারানো বাবদ তাদের কাছ থেকে ৩৭০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে পরিচয়পত্র দিচ্ছে না দায়িত্বরত অপারেটররা। এনিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা অনেক ভোটরদের মধ্যে।স্মার্ট কার্ড নিতে আসা সোহেল মিয়া, হুমায়ন, ইসমাইলসহ একাধিক ভোটার জানান, তারা ২০১৭ সালের ভোটার। ভোটার স্লিপ হারানোর কারণে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭০ টাকা করে আদায় করা হয়।সরেজমিনে বিতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্মার্ট কার্ড নিতে আসা নতুন অনেক ভোটারদের কাছ থেকে স্লিপ হারানো জন্য রকেট একাউন্টের নাম দিয়ে ৩৭০ টাকা করে নিচ্ছেন সুজন নামে এক অপারেটর। ভোটারদের টাকা নেওয়ার রশিদ দিলেও তাতে টাকার পরিমাণ লেখা নেই।নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র পুরাতণ ভোটারদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে তার জন্য সর্বচ্চো ৩৬৮ টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু নতুন ভোটারদের স্লিপ হারানো বাবদ কোনো টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। অথচ এখানে চলছে এর ব্যতিক্রম।এ বিষয়ে সুজন জানান, নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশেই এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে।এ ব্যাপরে পলাশ উপজেলা নির্বাচন অফিসার জোবাইদা খাতুন বলেন, নতুন ভোটারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। শুধু মাত্র পুরাতণ ভোটারদের পূর্বের পরিচয়পত্র হারানোর জন্য সার্বিস চার্জসহ ৩৬৮ টাকা নিতে পারে। নতুন ভোটারদের কাছ থেকে কোন টাকা নিলে তা ফেরত দেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment