লেখিকা-ফাতেমা আক্তার নওমি:
শুনো সীমান্ত। তুমি এই ধরনের কাজ করলে আমার বাসায় আর আসবে না।
সীমান্ত মাথা নিচু করে বসে আছে। কিছুই বলছে না। কিছুক্ষণ পর মামা আসে বাসায়। মামি সব কিছু বলার আগেই নিলয় বলে দেয়।
--পাপা জানো? সীমান্ত ভাইয়া আমাকে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল।
--(অবাক হয়ে) বলো কি? সীমান্ত তুই সত্যি এমন করেছিস?
--(সীমান্ত হতভম্ব হয়ে) মামা, আসলে। মানে?
মামাঃ তুই এখন বড় হয়েছিস ডাক্তারি পড়ছিস। এখনও বাচ্চাদের মতো কাজ করবি?
সীমান্তঃ ওর তো কিছু হয় নি মামা?
মামাঃ কিছু হয় নি মানে? হলে কি তুই খুশি হবি?
মামা মামি এ নিয়ে আর কিছু বললো না। সীমান্ত ব্যাগটা নিয়ে বের হয়ে যেতে শুরু করে।
মামা পেছন থেকে বলে...
--এই দাঁড়া কোথায় যাচ্ছিস তুই?
--চলে যাচ্ছি মামা৷
--রাগ করে চলে যাচ্ছিস?
--না। আমার হলে ফিরে যেতে হবে।
--দ্যাখ, তুই যা করেছিস। মামা হিসেবে এই টুকু বলার অধিকার কি আমার নেই?
--মামা এটা কোনো ম্যাটারই না। বাদ দেও। আমি এমনি চলে যাচ্ছি।
-- হুম। ভালো কথা যাবি। কিন্তু আজ নয়। কালকে যাবি।
রান্না ঘর থেকে মামি ডাকছে।
মামিঃ নিলয়ের পাপা। একটু এদিকে আসো।
--(মামা উঠে দাঁড়ালো) তুই বস। আমি আসছি।
এই বলে মামা রান্না ঘরে গেল।
--কি হয়েছে ডাকছো কেন?
মামিঃ দ্যাখো না। চুলাটা কিছুতেই জ্বলছে না। হঠাৎ এমন হলো কেন?
--(মামা একটু জ্বালানোর চেষ্টা করে) না, হচ্ছেই না। মিস্ত্রী লাগবে। তবে মনে হচ্ছে কেউ চুলাটাকে খুলেছে।
মামিঃ কে খুলবে? আমি তো দুপুরে ও রান্না করলাম। তখন তো ঠিকই ছিল। তারপর ই তো চলে গেলাম বিকেলের দিকে। আর এখন রান্না করতে এসে আমি কেন ই বা এটা খুলবো?আর আমরা তো কেউ বাসায় ছিলাম না।
মামাঃ নিলয়কে জিজ্ঞেস করে দেখ। ও কিছু করেছে কিনা!
মামি নিলয়কে রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করে।
--নিলু মামনি। তুমি কি রান্না ঘরের চুলা ধরেছিলে?
নিলয়ঃ না আম্মু। সীমান্ত ভাইয়া চুলা খুলেছিল।
নিলয়ের মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। তুমি ঘুমাও।
নিলয়ের মা রান্না ঘরে আবার প্রবেশ করে চোখেমুখে একগাদা বিরক্তিকর ভাব নিয়ে।
--উফফফ। এই ছেলেটা না! আর তো ভালো লাগছে না।
নিলয়ের বাবাঃ কেন কি হয়েছে? নিলয় করেছে এ কাজ?
--আমার ছেলে এ কাজ করতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
--আহহ। তাহলে কে করেছে বলো?
--কে আবার তোমার পাগল ভাগীনা। আল্লাহ জানে এই ছেলেকে নিয়ে তোমার বোনের কপালে আর কতো ভোগান্তি আছে। ছেলের কি প্রশংসা! আমার ছেলে হেই সেই। এই তার নমুনা?
--- আহ! মোনা। এতো রাগের কি আছে। বাচ্চা ছেলে তো। দাঁড়াও ওকে জিজ্ঞেস করি আর আমি গিয়ে মিস্ত্রী নিয়ে আসি।
-- হ্যাঁ হ্যাঁ যাও। বাচ্চা ছেলে! ঢং দেখে আর বাঁচিনা।
সীমান্তর মামা রান্না ঘর থেকে ড্রয়িং রুমে এসে দেখে। সীমান্ত বসে বসে টিভি দেখছে।
সীমান্তর উদ্দেশ্য করে মামা বলে,
--বাবা, তুই কি রান্না ঘরের চুলায় কিছু করেছিস?
সীমান্তঃ না তো মামা। আমি তো রান্না ঘরে যাই ই নি।
মামাঃ সত্যি যাস নি?
সীমান্তঃ হ্যাঁ , মামা বিশ্বাস করো আমি একদম ই যাই নি।
মামাঃ ( মনে মনে ভাবছে সীমান্ত মিথ্যা কথা বললো?) আচ্ছা। মনে হয় এমনি সমস্যা হয়েছে।তুই থাক তাহলে। আমি একটু আসছি।
সীমান্তঃ কেন মামা কি হয়েছে চুলায়? গ্যাস ছাড়ার জায়গাটা খুব হার্ড?
মামাঃ তুই কি করে জানলি?
সীমান্ত মাথা নিচু করে রাখলো।
মামা বাইরে চলে গেল।
এরমধ্যেই মামির প্রবেশ.........
--তুমি তো খুলো নি চুলা তাই না?
সীমান্তঃ না মামি৷ আমি রান্না ঘরেই যাই নি।
মামিঃ আচ্ছা তাহলে একটু আসো। এখন খুলতে পারবে? দ্যাখো না কি সমস্যা হয়েছে?
--(সীমান্ত খুশি হয়ে গেল) আচ্ছা মামি। চলেন। এটা তো কোনো ব্যাপারই না।
চোখের পলকে চুলাটা খুলে ফেললো সীমান্ত। গ্যাসের জায়গাটা ভালোভাবে দেখছে।
মামিঃ বাহ! এতো কায়দা করে খুলে ফেললা কিভাবে বাবা?
সীমান্তঃ আমি তো ঘন্টা খানেক আগে খুলেছি এটা।তখন পুরো কাজটা হয় নি। মামিঃ ( অবাক হয়ে, শেষমেশ স্বীকার করলে তাহলে) ও তুমি ধরেছিলে তাহলে?
সীমান্তঃ হ্যাঁ মামি। এই নেও তোমার চুলা একদম ওকে।
মামি সত্যি সত্যি অবাক হয়ে গেল। চুলা আসলেই একদম ওকে। আগে গ্যাস ছাড়ার জায়গাটা বেশ শক্ত ছিল৷ এখন ইজিলি ছাড়া ও বন্ধ করা যায়।
মামি মনে মনে ভাবছে। ছেলেটা পাগল হলেও অনেক গুন আছে বলতেই হবে। মনে মনে লজ্জিত ও হলো তার কটুবাক্যের কথা ভেবে।
মিনিট বিশ এক পর.........
মামা মিস্ত্রি নিয়ে আসে।
-- কোথায় মোনা?(লোকটাকে দেখিয়ে) উনি দেখবে কি হয়েছে?
মোনাঃ চুলা ওকে। উনার দেখার দরকার নেই।
-- কিভাবে হলো এটা?
-- কিভাবে আবার? যে করেছে, সে ই ঠিক করেছে!
--তাইনাকি? তুমি আবার কিছু বলো নি তো ওকে?
--না তো। কি বলবো আমি?
তারপর মিস্ত্রীকে বুঝিয়ে বিদায় দিয়ে দিল মামা।
-- আচ্ছা মোনা এটা বলো? ও কি নিজে থেকেই ঠিক করে দিয়েছে?
--(মোনা তার স্বামীকে সব কিছু বললো) সত্যি বলতে, সীমান্ত চুলাটা ঠিক করার উদ্দেশ্যেই খুলেছিল৷
--আমার ভাগিনা না! এই জন্য ই ওর মা বলে। .
পরদিন বেলা ১১ টায়.....
সীমান্তঃ মামি আমি আজই চলে যাবো৷
মামীঃ কেন বাবা? আরও কিছুদিন থেকে গেলে হয় না?
সীমান্তঃ না মামি, ভালো লাগে না এখানে।
মামীঃ সে কি কেন?
সীমান্তঃ ধুর, এখানে কোনো মানুষ থাকে নাকি? কি আছে আপনাদের? ৩ রুমের একটা ফ্ল্যাট আর একটা ড্রয়িং রুম। আমাদের বাসায় গিয়ে দেইখেন, কি সুন্দর বাগান করেছে মা। কতোগুলো রুম। আমাদের ড্রয়িং রুমে তো ফুটবল খেলা যায়।
মামিঃ ( হেসে) তাই নাকি? তুমি খেলো ফুটবল?
--ওইসব বাজে খেলা কে খেলে?
মামি একটা কথা বলি, আপনি আর মামা যথেষ্ট ইয়াং।
মামিঃ হা হা হা! তাই নাকি!
---হ্যা, আপনারা নিউ বেবি নেন।
(মামি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে)
--আর নিলয়কে আমার সাথে দিয়ে দেন।ওকে আমার অনেক ভালো লাগে!
--হুম। নিয়ে যাবে ভালো কথা। কিন্তু, তুমি তো হলে থাকো। সেখানে কি করে রাখবে ওকে?
--আমি যেভাবে থাকি।সেভাবেই থাকবে।
--ও তো একা খেতে পারে না। কে খাইয়ে দিবে ওকে?
--একাই খাবে শিখে নিবে।
বলতে বলতে সীমান্ত নিলয়কে কোলে তুলে নিল। কোলে নিয়ে বেলকুনির দিকে গেল।
মামি পাগলের কথা শুনে মনে মনে হাসছে।
নিলয়রা একটা ভাড়া বাড়িতে থাকে। হাইওয়ের সাথেই বাসাটা। রাস্তার ঠিক পাশের দিকেই ওদের বেলকুনি।
নিলয় রোজ বেলকুনিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ঠিক বেলা ১২ টার দিকে প্রতিদিনই একটা মধ্যবয়সী লোক এই রাস্তা দিয়েই যায়। আর নিলয়কে ভেংচি দেয়।
অবশ্য এ নিয়ে নিলয়ের কোনো অভিযোগ নেই।
প্রতিদিনের মতোই আজও একই রকম ভাবে লোকটা নিলয়কে ভেংচি দেয়। সীমান্ত ব্যাপারটি দেখে ওকে জিজ্ঞেস করে।
নিলয় বলে, ভাইয়া এই লোকটা প্রতিদিনই আমাকে ভেংচি দেয়।
সীমান্তঃ তুই কিছু বলিস না?
নিলয়ঃ না ভাইয়া। কি বলবো?
---ও আচ্ছা, দেখছি। কি করা যায়।
--ভাইয়া, থাক তোমার কিছু করতে হবে না।
--আরে বোকা। ভয় পাচ্ছিস কেন আমি তো লোকটাকে মারবো না। .
কিছুক্ষণ পর সীমান্ত ওয়াশরুমে গেল গোসল করার জন্য।
১ ঘন্টা হয়ে গেল। কিন্তু এখনও গোসল করা শেষ হলো না।
এবার মামী ওয়াশ রুমের সামনে গিয়ে দরজা নক দিল।
-- কি হলো। গোসল করা শেষ হয় নি? ১ ঘন্টার বেশি হয়ে গেল তো।
--হ্যা, মামী। আর একটু।
--( ছেলেটাকে নিয়ে এতো বেশি চিন্তা হয়। কি জানি কখন কি করে বসে?)
ভাবতে ভাবতে মামী ফ্লোরে তাকিয়ে দেখে পানি দিয়ে রুম তলিয়ে যাচ্ছে।
--( চিৎকার করে উঠে) সীমান্ত তুমি কি করেছো?(মামী)
মোনা ওয়াশরুমের কাছে দৌঁড়ে ছুটে যায়।
জোরে জোরে ওয়াশরুমের দরজা থাপ্পড় দিতে থাকে।
--আমি বলছি।দরজা খোলো বলছি। সীমান্ত দরজা খুলো।
সীমান্ত দরজা খুলে দেয়। মামী দেখে ওয়াশরুমের ট্যাবগুলো সব খুলে ফেলেছে। সামনের কল সম্পূর্ণটা খুলে ফেলেছে। দেয়াল দিয়ে কলের জায়গায় অনবরত পানি পড়ছে।
এই ১ ঘন্টা ধরে সীমান্ত ট্যাবটা খুলেছে। অথচ নিজে গোছল করে নি। এখন পানির ঝটকায় অনেকটা ভিজে গেছে।
মামীঃ (রাগান্বিত হয়ে) এগুলো কি করেছো তুমি? তোমাকে গোসল করতে বলেছি। এগুলো খুলতে বলেছি? কেন করেছো এটা? এখন কিভাবে পানি পড়া বন্ধ হবে? রুম তো ভেসে যাচ্ছে। এতো বড় ছেলে হয়ে কি করেছো এগুলো?
সীমান্তঃ (মাথা নিচু করে) মামী, আমাকে আর ৩০ মিনিট সময় দেন। আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি। আমি আসলে একটু দেখতে চেয়েছিলাম। কলের মধ্যে পানির চাপটা কোথা থেকে আসে?
--আসলেই তুমি আস্ত একটা পাগল। (মামী)
মামী তাড়াহুড়ো করে পানি সেচ করার ব্যবস্থা করে ফ্লোরে। .
সীমান্ত ঠিক ৩০ মিনিট পরই পূনরায় আগের মতো করে ট্যাব ঠিক করে দেয়। বেরিয়ে এসে মামীর সাথে ফ্লোরটাকে ভালোকরে মুছে পরিষ্কার করে সীমান্ত।
তারপর থেকে সারাক্ষণ ই মামী সীমান্তকে চোখে চোখে রাখে।
বিকেলের দিকে মামা অফিস থেকে বাসায় ফিরে।
ফ্রেস হয়ে ড্রয়িং রুমে বসতেই সবাই চা খেতে খেতে সীমান্তর সব কান্ড-কারখানা মামী মামাকে বলে দিল। মামা ঠান্ডা মাথায় তার ভাগ্নেকে প্রশ্ন করে.....
মামাঃ বল তো সীমান্ত? তুই একের পর এক এ ধরনের কাজ গুলো কেন করিস বাবা?
সীমান্তঃ মামা, আমার সব কিছুর ব্যাপারেই জানার আগ্রহ খুব বেশি। মানুষের মুখের কথা আমি কখনও ই বিশ্বাস করি না। সব কিছুই পরখ করে দেখতে ইচ্ছে করে। নিলয়কে ফ্রিজে ভরে আমি পরখ করতে চেয়েছিলাম। ফ্রিজে খাবার রাখলে যদি তাজা থাকে, তাহলে জ্যান্ত মানুষ কেন তাজা থাকবে না?
চুলার গ্যাস থেকে আমরা রান্না করি, সেই গ্যাস কতটুকু পর্যন্ত ছড়ায়৷ আর গ্যাস দিয়েই যদি রান্না করি তাহলে চুলা কেন আলাদাভাবে বসাতে হবে?
---(মামা সজোরে হেসে উঠলো) হা হা হা, তোর তো তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া উচিত ছিল। ডাক্তারিতে কেন গেলি বাবা?
প্রতিটা কাজ হাস্যকর হলেও এটা খুব খারাপ বাবা। এতে করে নিজেকে বোকা প্রমাণ করা হয়। তাছাড়া, তুই তো যথেষ্ট মেধাবী। এ রকমটা করিস না বাবা৷ অনেক ভালোবাসি রে তোকে। ভাব তো, তোর বাবা-মায়ের কতো স্বপ্ন তোকে নিয়ে?
---আরে ধুর বাদ দেও তো বাবা-মায়ের স্বপ্ন। ঘুষের টাকা দিয়ে চললে এর চেয়ে ভালো ছেলে আর কোথায় পাবে?
ভালো মানুষের ঘরে ভালো সন্তান হয়।
--তার মানে তুই বলতে চাচ্ছিস। তুই খারাপ? তোর বাবা খারাপ?
---না, রাস্তার ভিক্ষুক দেখেছো মামা?
--হ্যা, তো।
--একদিন তাদের লাইফস্টাইলটা ফলো করো। দেখবা তারা কতো সুখী। ঘুষ নিয়ে অন্যায় কাজ করতে হয় না।কোনো কাজই করতে হয় না। দিব্যি দিন চলে যাচ্ছে। পড়াশোনার কোনো চাপ নেই। ভিক্ষা করবে, খাবার কিনবে, খাবে, ঘুমিয়ে পড়বে। আহ! কি আরামের জীবন। একদিন নিজেকে এভাবে আবিষ্কার করে দেখো মামা৷ শুধু এটাই প্রমাণ হবে, পৃথিবীতে তোমার চেয়ে সুখী আর কেউ নেই। কোনো সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় না, কি পড়লাম, কি খেলাম কেউ আমাকে নিয়ে ভাববে না।
বেলাশেষে সবাই একগাল হেসে বলবে, "আরে ও তো একটা পাগল। পাগলে কিনা করে! আহ!কি স্বাধীন জীবন! বাঁচার ইচ্ছেটা হাজার বছর বেড়ে যায়।
--(মামা শুধু হেসেই যাচ্ছে,চোখেমুখে একটা ডোন্ট কেয়ারলেস ভাব মামার) সত্যি বাবা, আমি আজ ই বলছি পাগলে কিনা বলে! তুই ও এরকম। হা হা হা।
---আমার কথাগুলো কেউ বুঝবে না জানি। তাই বলি ও না। একটা কথা বলতে তো কোনো বাধা নাই, আমি বড় হয়ে ভিক্ষুক হবো!
---আচ্ছা তুই কবে যাবি?
--আজই চলে যেতাম। তবে কাল বেলা ১২ টার পর বিশেষ একটা কাজ আছে। তাই থেকে গেলাম আজ।
--(অবাক হয়ে) আবার কোন বিশেষ কাজ করবি তুই?
--এটা সিক্রেট।
--দ্যাখ বাবা৷ এমন কিছু করিস না। আমি তোকে কাল চোখে চোখে রাখবো। আমার তো আজ থেকে অফিস ছুটি পড়ে গেল ঈদের। আচ্ছা তুই না হলে ঈদ করেই যা।
তবে তুই আসার পর আমার নিলয়টা অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে৷ .
পরদিন বেলা ১২ টার পর সীমান্ত বিশেষ কাজের জন্য নিলয়কে নিয়ে বেলকুনিতে গেল। নিলয়কে আগেই শিখিয়ে দিয়েছে, " ভেংচি দেওয়া লোকটা আসলে তুই ডাক দিবি দাঁড়ানোর জন্য।
নিলয়ঃ কেন ভাইয়া?
--সেটা পড়ে বলবো। আগে আসুক লোকটা।
কিছু সময় পর লোকটা আসে। আর উপরে দিকে তাকায়৷ নিলয়কে দেখা মাত্রই ভেংচি দেয়।
সাথে সাথে নিলয়কে বেলকুনির গ্রিলের উপরে উঠিয়ে দেয় সীমান্ত। নিলয় সীমান্তর কথামতো লোকটাকে ডাক দেয়।
লোকটা দাঁড়ানোর সাথে সাথে পেছন থেকে নিলয়কে সীমান্ত বলে, হিসু করে দে। হিসু করে দে লোকটার উপর।
হিসু করে দে, নাহলে তোকে আবার ফ্রিজে রেখে দিব৷
নিলয় ফ্রিজে যাওয়ার ভয়ে,
এক প্রকার বাধ্য হয়েই,
তাড়াতাড়ি লোকটার মাথার উপর হিসু করে দেয়।
লোকটা প্রথমে পানি ভেবে জিহবা দিয়ে মুখ বেয়ে পড়া হিসু চেক করে। যখন সে বুঝে যায়, এগুলো হিসু। সাথে সাথে ওখান থেকে এক ছুটে চলে যায়।
যাওয়ার সময় বলে যায়, বেয়াদব ছেলে। হুহ।
------চলবে-----
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment