![]() |
একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:>>>
বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে অগ্নিকা-ে ৫ পরিবারের ৩ বসতঘর পুঁড়ে ছাই গেছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সংঘটিত এই অগ্নিকা-ে ৫ পরিবারের সম্পূর্ণ আসবাবপত্র, গৃহপালিত পশু, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পুঁড়ে গিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
অগ্নিকান্ডে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও আগুন নিভাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ৪ সদস্য আহত হয়। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতি পরিবারকে ২ বস্তা করে চাউল ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জোবেদার বাপের বাড়ীতে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়ে খলিলুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আবদুল মান্নান, নাছিমা আক্তার, শফিকুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিনের বাড়ীতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা পরিবারের সদস্যরা জেগে উঠে এবং দিকবিদিক ছুটতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা আগুন নিবারণের জন্য চেষ্টা চালায় এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই ঘন্টাব্যাপী অগ্নিকা-ে ৫ পরিবারের সম্পূর্ণ আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, ৪টি ছাগল, হাঁস মুরগী ও নগদ টাকা সম্পূর্ণ রূপে পুড়ে গিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় আগুন নিবারণের চেষ্টাকালে আহত হয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য ডা: আবদুল মান্নান, নাছিমা আক্তার, ফাতেমা বেগম ও শফিকুর রহমান। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছে।
অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ডা. আবদুল মান্নান বলেন, ‘অগ্নিকা-ে আমাদের ৫ পরিবারের সম্পূর্ণ মালামাল, গৃহপালিত পশু, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ৫ পরিবারের সদস্যদের সকল শিক্ষাগত সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়সহ যাবতীয় দলিলপত্রসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব বলেন, ‘সরল ইউনিয়নে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment