উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:>>>
নড়াইলে নাবালিকা মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মায়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার জের ধরে একজন স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের নামে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা চম্পা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে জানান, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের জয়পুর গ্রামের মৃত হিরু সরদারের মেয়ে ও জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী তিথি খানমকে (১৫) তার মা চম্পা বেগম খুলনা এলাকার একজন বয়স্ক ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু ছেলেটি অপছন্দ হওয়ায় এবং পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছার প্রেক্ষিতে তিথি ওই ছেলের সাথে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি তিথির মা চম্পা বেগম মেনে নিতে পারেনি। এরপর থেকে তিথির মা চম্পা বেগম তিথিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে তিথি ঘটনাটি তার সহপাঠিদের জানায়। পরবর্তীতে ক্ষোভে-দুঃখে তিথি বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে আত্মহত্যা করে।
এলাকাবাসী মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় থানার এসআই সরল বিশ্বাস বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোহাগড়া থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর মা চম্পা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মাহফুজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত চম্পা বেগম নড়াইলের সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment