উজ্জ্বল রায়, নড়াইল:>>>
নড়াইলের কালিয়ায় পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী (৪৪) নিহত হয়েছে। আসলাম ওই গ্রামের ইদ্রিস গাজীর ছেলে। এর আগে ওইদিন উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ২০ রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষন করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার চালিতাতলা গ্রামের কাদের মোল্যা ও ইদ্রিস গাজী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে কোন্দল চলে আসছিলো। এর জের ধরে বুধবার সকালে ওই গ্রামের খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ইদ্রিস গাজী, তার ছেলে আসলাম গাজী ও রিফায়েত মোল্যাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। গুরুতর আহত আসলামকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে চাচিকে অনৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় নড়াইলের নড়াগাতি বাজারে কম্পিউটার দোকানি জহিরুল মোল্যাকে (২৪) পিটিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল নড়াগাতি গ্রামের আকুব্বর মোল্যা (আকুর) ছেলে।
নিহত জহিরুলের স্বজনেরা জানান, জাহিদ ও রেজওয়ান ছাড়াও নড়াগাতি এলাকার লস্কর ফিরোজ আহমেদ, তার ভাই জাফর ও মানিকসহ মোস্ত, ইলিয়াস ও ইকরাম লস্কর এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, চালিতাতলা গ্রামের গাজী এবং মোল্লা দের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দল চলে আসছিলো তার প্রেক্ষিতে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে জহিরুল মোল্যার চাচিকে পাশের কামশিয়া এলাকার জাহিদ ও তার সহযোগী রেজওয়ান কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ করায় জাহিদসহ তার সহযোগীরা জহিরুলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় জহিরুলকে তার দোকানের সামনে মাথায় কাঠ দিয়ে গুরুতর আঘাত করলে খুলনায় নেয়ার পথিমধ্যে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার) সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment