একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬ নং বেতকাপা ইউনিয়নের নান্দিশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে হালদার পাড়া পযন্ত রাস্তার ১১৪ টি ইউক্লেলিপটাশ গাছ কর্তন করেছে পারআমলা গাছী গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া।
বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম এ গাছ কর্তনের অনুমতি প্রদান করেন। সরকারী রাজস্ব ফাকি দিয়ে এসব বড় বড় ইউক্লেলিপটাশ গাছ নাম মাত্র ৮০ হাজার টাকা মূল্যেয় বিক্রি করেন তারা । মোটা টাকার চুক্তির বিনিময়ে উক্ত সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সহযোগিতায় সরকারের রাজস্ব ও সমিতির সদস্যদের ফাঁকি দিতেই গাছ কর্তনকারীর সঙ্গে লিয়াজো করে এসব গাছ কর্তন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
জানাযায়, উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের নান্দিশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে হালদার পাড়া পযন্ত রাস্তায় উক্ত সমিতির সদস্যরা ১০/১২ বছর আগে ইউক্ল্যালিপটাশ গাছ রোপন করেন । গাছগুলো বর্তমানে বেশ বড় ও মোটা হয়ে বেরে উঠেছে। উক্ত গাছগুলো চোখে ধরার মত হওয়ায় সমিতির কিছু লোভী ব্যক্তি গাছগুলো কর্তন করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ইং ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের একটি কাগজ তৈরি করে দেন ৬নং বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম। সেখানে দ্বিতীয় দরদাতার কোন উল্লেখ নেই। কোন পত্রিকার গাছ কর্তনের টেন্ডার নোটিশ নেই।
ইউপি পরিষদের কোন নিলাম ডাকের সাইন বোর্ড কিংবা মাইকিং নেই। নেই উপজেলা ফরেস্টের কোন অনুমতির কাগজ পত্র। গাছ কর্তনের বিষয়ে জানেন না কমিটির সদস্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। শুধু মাত্র ইউনিয়ন পরিষদের একটি কাগজ দিয়ে কি ভাবে এতগুলো গাছ কর্তন করা যায় এ প্রশ্ন করেছেন অত্রালাকাবাসী।
এব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা -উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। এবিষয়ে ৬ নং বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম জানান, আপনাদের কি করার আছে করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে যথাযথ নিয়ম মেনে গাছ কর্তন করতে বলা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment