দোয়ারাবাজারে ঘুষখোর বিচারকদের বিরুদ্ধে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 11 February 2020

দোয়ারাবাজারে ঘুষখোর বিচারকদের বিরুদ্ধে ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


একুশে মিডিয়া, নিজস্ব প্রতিনিধি:>>>
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশতলা অঞ্চলের প্রভাবশালী তকমা লাগানো দালালদের মধ্যে হাসন আলী,রশিদ মোল্লা ও আব্দুল হাই মোল্লা অন্যতম। বলতে গেলে দালাল খ্যাতি হলো তাদের একমাত্র পুঁজি। তাদের হয়রানিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাও(ইসলামপুর) গ্রামের মৃত সহিদ মিয়ার পুত্র মোঃআব্দুর রশিদ উরুফে রশিদ মোল্লা ,ঝুমগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন কমান্ডারের পুত্র মোঃআব্দুল হাই উরুপে আব্দুল হাই মোল্লা উরুপে আব্দুল হাই ডাক্তার ,ঝুমগাও গ্রামের মৃত সুন্দর আলী সান্ডলের পুত্র মোঃহাসন আলী।

পেশাদার এ দালালের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের খপ্পড়ে পড়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষ টাকা পয়সা জমি বাড়ী হারিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।সাধারণ মানুষের অভিযোগ আব্দুল হাই মোল্লা ,রশিদ মোল্লা ও হাসন আলী যেকোনো মানুষের সমস্যা সমাধান করে দিবে বলে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দায়িত্ব নেন। অতপর ভিন্ন কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
এভাবে তারা দিনের পর দিন নানার কৌশলে সরকারি বিভিন্ন অফিসারদের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে দেওয়ার অজুহাতে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার কারণে তাদের দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িত প্রতারিত হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা সংশ্লিষ্টদের কাছে। তাদের কাছে জমাকৃত টাকা চাইতে গেলে উল্টো বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। তার অদৃশ্যে ও আকাশচুম্বি ক্ষমতা নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষ রীতিমতো হতবাক।আবার সাধারণ মানুষের মাঝে একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আসলে তার এত ক্ষমতার উৎস কোথায়?
মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারী)উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঝুমগাও(ইসলামপুর)গ্রামের মোঃআব্দুল মালেকের স্ত্রী মোছাঃছায়ারুন নেছা ৬৫ হাজার টাকা আত্বসাতের করার অভিযগে ঝুমগাও(ইসলামপুর)গ্রামের সৌদি আবর প্রবাসী এরশাদ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম,মৃত সহিদ মিয়ার পুত্র মোঃআব্দুর রশিদ,ঝুমগাও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন কমান্ডারের পুত্র মোঃআব্দুল হাই,মৃত সুন্দর আলী সান্ডলের পুত্র মোঃহাসন আলীকে বিবাদী করে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে যানাযায়,অভিযুক্ত রোকেয়া বেগমের স্বামী ৩ বছর আগে সৌদি আরব যাওয়ার সময় বিবাদী ছায়ারুন নেছার নিকট থেকে বছরে ৩৫মন ধান দেওয়ার শর্তে ৫০হাজার টাকা ধার নেন,গত দুই বছর ধান দিলেও এবার ধান দিতে গড়িমসি শুরু করলে এলাকার বিচারক নামধারী বিবাদী  আব্দুল হাই,রশিদ মোল্লা ও হাসন আলীর সমন্বয়ে টাকা উদ্ধারসহ বিষয়টি ফয়সালা করে দিবেন বলে আশ্বস্থ করলে তাদের কথা মত রোকেয়া বেগম ও তাহার স্বামীর দেওয়া লিখিত ষ্টাম্পটি বিচারক বিবাদী আব্দুল হাইয়ের নিকট জমা দেন একই সাথে  রোকেয়া বেগমের নিকট থেকে ৬৫ হাজার টাকা জমা নেন।বিবাদীগন ষ্টাম্পসহ রোকেয়া বেগমের দেওয়া ৬৫ হাজার টাকা বিচারকদের হেফাজতে রাখিয়া দেম দিচ্ছি বলে তাহবাহনা শুরু করেন অদ্যবদি বাদী ছায়ারুন নেছার টাকা ও ধান না পাওয়ায় সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।ছায়ারুন নেছা বলেন আমি টাকা ফেরত পাওয়া সহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী রোকেয়া বেগম বলেন আমি ৫০ হাজার টাকা এনেছিলাম দুই বছর ধান দিয়েছি এবার সমস্যা দেখা দিলে বিচারকগন সমাধান করে দিয়েছেন আমি বাদী ও  বিচারকদের উপস্থিতিতে  রশিদ মোল্লার নিকট ৬০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি উনি আমার দেওয়া ষ্টাম্প রশিদ মোল্লা ফেরত দিয়েছে।বিচারকগন ছায়ারুন নেছার টাকা দিয়েছে কিনা আমি জানিনা,আমার সামনে দেয়নি।
মোঃআব্দুর রশিদ বলেন, টাকা আমার নিকট জমা দেয়নি রোকেয়া মিথ্যা বলছে টাকা আব্দুল হাই মোল্লার নিকট জমা দিয়েছে ।আমার সামনেই আব্দুল হাই মোল্লা খাইরুন নেছার হাতে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছে,আমাদের উপর করা অভিযোগ সত্য নয়।মোঃহাসন আলী বলেন আমারা ছায়ারুন নেছার টাকা দিয়েছি অভিযোগ সত্য নয়।
মোঃআব্দুল হাই কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সসস্য খোরশেদ আলম বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি বিচারকগন টাকা ষ্টাম্প জমা নিয়েছেন তবে ছায়ারুন নেছা টাকা পায়নি বলে আমাকে জানিয়েছেন,আমি জেনেছি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন আশাকরি তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোয়ারাবাজার থানার এসআই রাকিবুল হাছানের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।







একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages