জাহিরুল মিলন, জেলা প্রতিনিধি:>>>
যশোরের শার্শায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে ঐশি আক্তার (১৫) নামে এক নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়নের গাতিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বাল্যবিবাহ থেকে রেহায় পাওয়া মেয়ে ঐশী গাতিপাড়া গ্রামের শাহিন মোড়লের মেয়ে। যার সাথে নূর ইসলামের ছেলের সুজন হোসেনের বিয়ের কথা ছিল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা আসে যে শার্শা ইউনিয়নের গাতীপাড়া গ্রামে ১৩/১৪ বছরের মেয়ে সাথে ২৫ বছরের ছেলে সাথে বাল্যবিবাহ দিচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে ০২টায় বিবাহ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখাতে পাই যে, কনে মোছাঃ ঐশি আক্তার (১৫) সাথে পাশের বাড়ির মোঃ সুজন হোসেনের (২৫) সাথে বিবাহ সম্পাদনের উদ্দেশ্য খাওয়া-দাওয়া ও বিবাহ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক আয়োজন চলছে। এসময় আমি কন্যা ও বরের বাবাকে বাল্যবিবাহ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তর দেন যে, তারা কোর্ট থেকে এভিডেভিডের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেছেন কিন্তু তারা জানেননা যে, এভিডেভিড কোন বিয়ে নয়, শুধু হলফনামা এবং কেউ যদি এভিডেভিডকে বিয়ে মনে করে এক সঙ্গে বসবাস করে তা ব্যভিচার।
তারপর আমি মেয়ের জন্ম সনদ এবং জেএসসি সার্টিফিকেট যাচাই করে দেখাতে পাই যে, কনে মোছাঃ ঐশির বয়স ১৫ বছর। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী কন্যা বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় সে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কা।
উপর্যুক্ত অপরাধের কারণে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন,২০১৭ অনুযায়ী বাল্যবিবাহকারী বর মোঃ সুজন হোসেন (২৫) কে ১১০০০/-(এগার) হাজার এবং বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা মোঃ শাহিন মোড়ল ( কনের পিতা) কে ১০০০০/-(দশ) হাজার টাকা মোট ২১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং বাল্যবিবাহ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
এসময় কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে দিতে কনের বাবাকে নিষেধ করা হয় এবং সবাই একমত পোষণ করেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সবসময় জিরো টলারেন্সে থাকার চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment