এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক চালককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ অপহৃত গাড়ী চালককে ওই ভাইস চেয়ার্যামের বাথরুম থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
নির্যাতনের শিকার প্রাইভেটকার চালকের নাম মো. শরীফ। তিনি কুমিল্লার নূরজাহান হোটেলের স্বত্বাধিকারী মো. রাশেদুজ্জামানের গাড়ি চালান।এ ঘটনায় চালক শরীফ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে ক্যান্টনমেন্ট ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে চালক শরীফের গাড়ীর সংঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা বকুলের গাড়ীর ধাক্কা লাগে।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান বকুল ১০ হাজার ক্ষতিপূরন দাবী করে। চালক শরীফ তাঁর গাড়ীর ক্ষতি হয়েছে বলে টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করে।তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চালককে আটকে রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান। পরে লোকজন দিয়ে তাকে ধরে বাসায় নিয়ে মারধর করে বাথরুমে তালাবদ্ধ করে রাখে।পরে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরীর বাগিচাগাওস্থ বকুলের বাসার বাথরুম থেকে শরীফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
বকুলের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় অভিযোদ দেয়া হয়েছে বলে জানান রাশেদুজ্জামান।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম জানান, এসআই এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাগিচাগাও বাসা থেকে চালক শরীফকে উদ্ধার করে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বকুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর গাড়ী মাঠে রাখা ছিলো চালক শরীফ পাকিং করার সময় তাঁর গাড়ীতে ধাক্কা দেয়। পরে শরীফকে রেখেই গাড়ীতে থাকা অন্য একজন শরীফের গাড়ী নিয়ে চলে যায়। পরে শরীফ আমার গাড়ী ঠিক করে দেবে বলে আমার সাথে আমার বাড়ীতে আসে। কিছুক্ষন পরে পুলিশ আমার বাসায় হাজির হয়ে গ্যারেজে গাড়ীর সামনে থাকা শরীফকে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মূলত আমার গাড়ী ক্ষতি হয়েছে আমি অভিযোগ দেয়ার কথা। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা সাজিয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment