এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে চাকুরীজীবি দম্পতির বাড়ীতে দিন-দুপুরে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। এসময় অজ্ঞাত চোরেরা নগদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার, এন্ড্রয়োড মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায় যে ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের স্থানীয় পূর্ব কাশিপুর( উত্তর পাড়া) গ্রামের প্রভাষক আবুল কালাম এর থাকার বসতঘরে এই এ চুরির ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রভাষক আবুল কালাম স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পূর্ব কাশিপুর গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র আবুল কালাম জেলার গণবিদ্যাপিঠ কারিগরি ও বানিজ্যিক কলেজের একজন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত এবং উনার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, স্বামী স্ত্রী উভয়ে চাকুরীজীবি হওয়ায় প্রতিদিনই সকাল ১০ টার মধ্যে যে যার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে দরজা জানালা বন্ধ করে তালা মেরে চলে যায়।অনূরুপ শনিবার ও প্রতিদিন এর ন্যায় বাড়ী থেকে চলে যায়।আবুল কালাম এর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শারিরীক অসুস্থতা জনিত কারণে শনিবারে দুপুর ১.৩০ মিনিটে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখে বসতঘরের মূল দরজাটি খোলা, এতে তার বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় ঘরে দ্রুত প্রবেশ করেই দেখতে পায় বিভিন্ন ব্যবহারীত জিনিস পত্র চতুরদিকে ছড়ানো ছিটানো।এরপর তিনি শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন তাদের ব্যবহারীত স্টিলের আলমারির লকার ভাঙ্গা ও ডয়ার গুলি নিচে পড়ে আছে, যেখান ছিলো নগদ টাকা গুলি,এবং খাটের উপর পরে আছে কাঠের ওয়ারড্রাপের ডয়ার গুলি যেখানে ছিলো স্বর্নলংকার ও ল্যাপটপ কম্পিউটার,তাৎক্ষণিক স্ত্রী আঞ্জুমান আরা হিতাহিত জ্ঞান ও শরীরে শক্তি হারানোর মতো অবস্থায় স্বামী প্রভাশক আবুল কালাম কে মুঠোফোনে বিষয় গুলো অবগত করে তিনি প্রায় হুশ হারানোর ন্যায় মাটিতে পরে যান।স্বামী আবুল কালাম এর মুঠোফোনে সংবাদ পেয়ে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী রা ছুটে এসে দেখেন বসতঘরের সাথে থাকা টয়লেটের পেছনের দিকে টিন কাটা,এবং ঘরের বেতরে ২টি কক্ষে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।আশেপাশে থাকা বিভিন্ন বাড়ীর প্রতিবেশী মহিলারা এসে ভিড় জমায় ভুক্তভোগীর ঘরে।প্রতিবেশীদের ধারণা এই টয়লেটের টিন কেটে এই দূর্ধূর্ষ চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে অজ্ঞাত চোরেরা।
কিছুক্ষণ এর মধ্যে ই ঘটনাটি পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে দিনের বেলায় এমন কর্মকান্ড ঘটবে তা মানতে কেউ রাজি ছিলোনা।থানায় করা অভিযোগ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী প্রভাষক আবুল কালাম এসময় তিনি বলেন, আমরা স্বামী স্ত্রী উভয়ের চাকুরীজীবি হওয়ায় আমাদের প্রতিদিনের চলাফেরা ছিলো রুটিন মাফিক সকালে একই সাথে বের হয়ে যে যার কর্মস্থলে চলে যাই আবার পূনরায় কিছু সময় আগে পরে করে বিকেলে বাড়ী ফিরে আসি।কিন্তু দীর্ঘ এতটা সময়ে এমনম মর্মাহত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম হয়নি,কিন্তু আমাদের থাকার জন্য একটি ঘরের কাজ শুরু করার পর দিনে দুপুরে এমন চুরির ঘটনা মানতে কষ্ট হচ্ছে,কেননা নির্মাণ করা ঘরের কাজ কে কেন্দ্র করে এতগুলো টাকা আলমারিতে রাখা,এর মাজে কিছুটাকা আত্মীয় স্বজন থেকে নেওয়া, কিন্তু আমি নিশ্চিত এটা পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে।আর তাই তিনি নিকটস্থ থানা পুলিশের সর্বোচ্চ তদন্ত কামনা করেছেন।
সবমিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি জানান নগদ ক্যাশ টাকা ও মালামাল সহ প্রায় ৮/৯ লক্ষ টাকা।এই বিষয়ে নিকটস্থ চৌদ্দগ্রাম থানায় আলাপকালে কর্মরত অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ তথ্য টি নিশ্চিত করে বলেন এমন একটি চুরির ঘটনার অভিযোগ আমরা পেয়েছি তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment