একুশে মিডিয়া, সুনমাগঞ্জ প্রতিনিধি:>>>
সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সালামপুর গ্রামের সূর্যমুখীর বাগান পর্যটকদের নতুন এক আকর্ষণ। ইচ্ছে হলে পরিবার-পরিজন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এই সূর্যমুখী বাগানে ভালো সময় কাটানো ও উপভোগ করতে পারেন নিজের সর্বোত্তম সময়টুকু। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে হবে উপজেলার ভাদেরটেক ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপু র উপজেলার সড়ক সংলগ্ন সালামপুর গ্রামে।
জানা যায়, জেলা কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় বাণিজ্যিক লক্ষেই তিন কেয়ার ভূমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন উপজেলার ভাদেরটেক ইউনিয়নের সালামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমান। তার এই সূর্যমুখী বাগানকে কেন্দ্র করে চলতি বছর হঠাৎ করে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় তিন শতাধিক গাছের প্রত্যেকটিতেই ফুল ফুটেছে। একসাথে প্রতিটি চারায় ফুল ফুটায় পুরো জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে অভাবনীয় এক মনজুড়ানো সৌন্দর্য। সকালে সূর্যের দিকে মুখ করে ফুটে থাকা ঘন ফুলের সমারোহ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আকর্ষণ সৌন্দর্য প্রকৃতি ও সৌন্দর্য প্রেমীদের টেনে আনছে। এখানে এসে কেই কেউ ছবি বা সেলফি তুলছেন আবার অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সারাদিনই ভিড় থাকে নারী-পুরুষসহ তরুণ-তরুণীদের।
সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছিল বাগানে। এই মৌসুমি পর্যটন এলাকাটিকে ঘিরে জমে উঠেছে ছোটখাটো কিছু দোকানপাটও। শুকনা খাবার, তরমুজ ও চা নিয়ে বসে গেছেন কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি। আর অনেক বাস, লাইটেস, সিএনজি, মোটরসাইকেলের চালকরা পর্যটকদের আনা নেওয়ায় বেশ ভাল চলছে। বাড়তি রোজগারের উপায় পেয়ে ব্যবসা করতে পেরে খুশি অনেকেই।
জেলা শহরের বাসিন্দা পর্যটক আশরাফুল ইসলাম সুমন, মেহেদী হাসান ভূঁইয়া জানান, হাজারো ফুলের সমারোহে মুগ্ধ আমরা। ফুলের সৌন্দর্যে কিছু সময় আনন্দে থাকা যায়। সূর্যমুখী বাগানে আসলে অন্যরকম যা কোথাও আমি পাইনি। এ আগে আমি আরও দুইবার এ বাগানে এসেছি।
বেড়াতে আসা আশরাফুল ইসলাম সাকিব, সোহেল আহমদ সাজুসহ অনেকেই জানান, শহরের অদূরে সূর্যমুখী বাগানটি খুবই সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। যাত্রা পথে হলুদবর্ণের ফুল আমাদের কাছে টেনে নিয়েছে। স্মৃতি ধরে রাখতে সূর্যমুখীর সংস্পর্শে গিয়ে কিছু ছবি উঠেছি। ভাল লেগেছে আমাদের।
বাগানের মালিক কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ১৫ মার্চের মধ্যে ফুলগুলো বীজ সংগ্রহের উপযোগী হয়ে উঠবে। তখন সূর্যমুখী গাছ কেটে বীজ সংগ্রহ করা হবে। গজিয়ে উঠা এই হলুদের শোভা ১৫ মার্চের পর সালামপুরের সূর্যমুখী হলুদ বাগানটি আর থাকবে না। পূর্বের মতোই সাদামাটা একখন্ড জমিতে পরিণত হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বেড়াতে আসা লোকজন বাগানের ভিতর ঢুকে ছবি তুলেতে গিয়ে গাছগুলো মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। অনেকে আবার ফুল ছিঁড়ে নেয়। এতে তার ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্ষতির আশঙ্কায় মানুষের এই সমাগম মেনে নিতে পারছেন না।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment