সরকারি নিদের্শ বা বিনা নোটিশে বাঁশখালীতে এস আলমের বিরুদ্ধে কৃষকদের গ্রেফতার এবং মিথ্যা মামলায় জিম্মি করে জোর পূর্বক জমি’র মালিকানা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কৃষিকদের মালিকানাধীন জমি জোর পূর্বক ভরট করে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ‘গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ’ প্রকল্প সংযোগ সড়ক (এক্সেস রোড) নাম ব্যবহবার করে গন্ডামার ব্রীজ থেকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত প্রায় ৩শ ফিটের অধিক প্রস্থ করে জমি মালিকদের তোয়াক্কা না করে জমি দখল করে নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী ও তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বেশ কিছু ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে গন্ডামার ব্রীজ থেকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত প্রায় ৩শ ফিটের অধিক প্রস্থ জমি দখল করে নিয়েছে। এতে জমির মালিকগণ বাধা দেওয়ায় অনেকেই হামলার শিখার হয়েছে। ক্ষিপ্ত হয়ে লেয়াকত আলী তার বাহানীদের নিয়ে
জমি দখল শেষে রাত্রে বাড়ীতে বাড়ীতে পুলিশ গিয়ে বাধা দেওয়ার জমির মালিককে আটক করে জমি হস্তান্তারের জন্য ব্যধ করেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
জমির মালিকরা আরো জানান, বিগত ২০১৬ সালে গন্ডামারা বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির ব্যনার ব্যবহার করে এলাকার মানুষগুলোকে একত্রিত করে ‘কয়লা বিদ্যুৎ’ বন্ধের দাবীতে আনন্দোলন শুরু করলে পুরা গন্ডামারার এলাকার সহজ সরল মানুষগুলো সাড়া দেন। আনন্দোলন চলাকালীন সময়ে অনেকেই জীবন দিয়েছেন এবং অনেকেই মানুষ পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন। গেলো ইউপি নির্বাচনের পূর্বে আবারও আনন্দোলন সংগ্রামের কথা বলে স্থানীয় লোকজনকে একত্রিত করে ইউপি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছিল সেই লেয়াকত আলী।
সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে অর্থলোভী লেয়াকত এস আলম গ্রুপের সাথে গোপনে হাত মিলিয়ে এলাকা মানুষের বিপক্ষে, এস আলমের পক্ষে গিয়ে যে কোন কাজ করে যাচ্ছে মুনাফেক লেয়ায়ত আলী! তার এমন হিংসাত্মক ওই এলাকার মানুষে হতবম্ভ হয়ে পড়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে সেই লেয়াকত আলীর সমালোচনা করে পোষ্টে দেখা যায়, মুনাফেক লেয়ায়ত আলী! বেইমান লেয়াকত! খুনি লেয়াকত! সহ নানা ধরণের বিতর্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি নেতা লেয়াকত।
এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ‘গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ’ প্রকল্প সংযোগ সড়ক (প্রাইভেট রোড) নির্মাণের জন্য জমি জোরপূর্বক কালে মালিকানাধীন মামির কথা বলায় ২৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দুপুর ১২ টার দিকে গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাদীর পাড়া এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন সিকদার (৩২) কে আটক করেছে বাশঁখালী থানা পুলিশ।
জমির মালিকরা আরো জানান, বিগত ২০১৬ সালে গন্ডামারা বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির ব্যনার ব্যবহার করে এলাকার মানুষগুলোকে একত্রিত করে ‘কয়লা বিদ্যুৎ’ বন্ধের দাবীতে আনন্দোলন শুরু করলে পুরা গন্ডামারার এলাকার সহজ সরল মানুষগুলো সাড়া দেন। আনন্দোলন চলাকালীন সময়ে অনেকেই জীবন দিয়েছেন এবং অনেকেই মানুষ পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন। গেলো ইউপি নির্বাচনের পূর্বে আবারও আনন্দোলন সংগ্রামের কথা বলে স্থানীয় লোকজনকে একত্রিত করে ইউপি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছিল সেই লেয়াকত আলী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে সেই লেয়াকত আলীর সমালোচনা করে পোষ্টে দেখা যায়, মুনাফেক লেয়ায়ত আলী! বেইমান লেয়াকত! খুনি লেয়াকত! সহ নানা ধরণের বিতর্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি নেতা লেয়াকত।
এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন ‘গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ’ প্রকল্প সংযোগ সড়ক (প্রাইভেট রোড) নির্মাণের জন্য জমি জোরপূর্বক কালে মালিকানাধীন মামির কথা বলায় ২৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দুপুর ১২ টার দিকে গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাদীর পাড়া এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন সিকদার (৩২) কে আটক করেছে বাশঁখালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের ব্যাপারে বাঁশখালী থানার দায়িত্বরত এস আই রুবেল হোসেন আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গণ্ডামারা এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের রশিদ আহমদ এর পুত্র জসিম উদ্দিন (২৮) আটক করা হয়েছে। সে এজন নিয়মিত মামলার আসামী বলে জানান এস আই রুবেল।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকেলে গণ্ডামারা ব্রীজ থেকে কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প সংযোগ সড়ক (এক্সেস রোড) নির্মাণ এবং নির্মাণাধীন সড়কের ২ পার্শ্ব থেকে আরো প্রায় ৩/৪ শত ফিট ধানী জমি সেই লেয়াকত আলী ও তার বাহিনীর সদস্যাদের নিয়ে মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক মাটি ভরাট করে জবর- দখল করেছেন।
স্থানীয় জমি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্র জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহমুদুল হক, কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর, নোয়া মিয়া, শহিদুল হক, শামশুল আলম, ফাতেমা বেগম সহ আরো অনেকে জানান, গণ্ডামারা এলাকার সর্বস্তরের নারী-পুরুষ লেয়াকত আলীকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প ওই এলাকায় স্থাপন না করার জন্য। কারণ কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের প্রথমে ডাক দিয়েছিলেন বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক পরিচয়ের লেয়াকত আলী।
দাবি তুলেছিলেন পরিবেশ রক্ষা করার ■তিনি বলেছিলেন কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু গণ্ডামারা মারা এলাকা নয় বরং পুরো বাঁশখালীই ধ্বংস হয়ে যাবে ■ পরিবেশ দূষিত হবে ■ বায়ু দূষণের ফলে সন্তান বিহলঙ্গ হবে ■ফসলি জমি ধ্বংস হবে ■ কার্বনডায়োক্সাইড বিঘ্নিত হবে ■ এমনকি বাপ দাদার কবরস্থান পর্যন্ত রক্ষা করা যাবেনা এমন বক্তব্য দিয়ে গণ্ডামারা এলাকার সর্বস্তরের নারী-পুরুষের অন্তরে স্থান দখল করে নিয়েছিল লেয়াকত! আর ওই এলাকার সাধারণ জনগণ লেয়াকত আলীর মিষ্টভাষী বক্তব্য শুনে মনে করেছিল তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেই নির্মাণাধীন ‘গন্ডামারা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ’ প্রকল্পের নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে, এমন আশা নিয়েই জীবন বাজি রেখেই ভোট দিয়ে বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল ওই এলাকার সহজ, সরল নারী-পুরুষ।
স্থানীয় জমি মালিক ফাতেমা বেগম বলেন, (আঁই লেয়াকত আলীরল্লাই রোজা রাক্ষি, নফল নামাজ পরগিই, আঁর রোজা, নামাজ লেয়াকুত্ত্যারে ফেরত দিতো হ্যঁ) বিদ্যুত প্রকল্প বন্ধের জন্যে লেয়াকতকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের কার্যক্রম আরো দ্রুত গতিতে চলার সহযোগিতা করা দৃশ্য দেখে হতবাক হন এলাকার মানুষ।
এখন ওই এলাকার "ভুক্তভোগীদের একটাই প্রশ্ন"নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের কার্যক্রম যখন তথাকথিত সমন্বয়ক নাছিরের দ্বায়িত্বে ছিলেন তখন পরিবেশ বিধ্বংসী ছিল" আর সেই কার্যক্রমের দায়িত্ব লেয়াকতের হাতে আসার পর পরিবেশ বান্ধব হলো কিভাবে ?
সেটা জানতে চায় ওই এলাকার সাধারণ জনগণ।
সেটা জানতে চায় ওই এলাকার সাধারণ জনগণ।
চলমান গণ্ডামারা ব্রীজ থেকে কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প সংযোগ সড়ক (এক্সেস রোড) নির্মাণের নামে এক ধাপে প্রায় ৮০ (আশি) ফুট চৌড়া করে নিরহ কৃষকদের মালিকানাধীন ফসলি জমি জবর-দখল করে নেয় এস▪আলম গ্রুপ।যার কোন মুল্য এখনো পর্যন্ত পাননি বলে জানান মালিকগণ।
এরই মধ্যে ওই সড়কের দু'পাশ থেকে আরো ৩/৪ শত ফুট কৃষি জমি।এস আলম'র পক্ষে হয়ে জমি জবর- দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লেয়াকত ও তার পালিত বাহীনির সদস্যরা এমন অভিযোগ কৃষকদের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জবর দখলে বাধা দানে জমির মালিক পক্ষের সাথে এস আলম গ্রুপের পক্ষে আসা লেয়াকত বাহিনীর সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হওয়ার পরএকপর্যায়ে মালিক পক্ষের লোকজনের বাধার মুখে পড়ে লেয়াকত সহ তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেও,এতে লেয়াকত আলীর পক্ষে আসা ওই এলাকার মোয়াজ্জিন পাড়ার জাফর আহমেদ এর পুত্র জাহাঙ্গীর (২৬)'র হুছট খেয়ে মাটিতে পড়ে শারিরীক ভাবে হালকা আঘাতে সৃষ্ট মামলাকে পুজি করেই প্রতিনিয়ত চলছে পুুুুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানি।মামলা এবং গ্রেপ্তারের ভীতি প্রদর্শন করেই জমির মালিকানা এস আলম গ্রুপের নামে জোর পূর্বক হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় জমি মালিক পক্ষ ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি লেয়াকত আলীর পক্ষে আসা আহত জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় এজাহারে উল্লেখিত ১০ নং আসামী- মো: হাছন(৩০)পিতা মো: নোয়া মিয়ার ঘটনার চার/পাঁচ দিন পূর্বেই (ডুবাই)প্রবাসে চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার চার/পাঁচ দিন পরে সংগঠিত ঘটনায় প্রবাসী মোঃ হাছন কিভাবে থানায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভূক্ত আসামী হয়েছে সেটা বুঝতে পারছেননা জানান সাবেক মেম্বার নোয়া মিয়া।
তিনি আরো বলেন, এলাকায় খুবই উত্তেজনা চলছে, কয়লা সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য অনেক জমি দখল করে নেয়ার পর আবারও ওই সড়কের দু'পাশ থেকে আরো প্রায় ৩/৪ শত ফুট কৃষি জমি জবর দখল করে নেয়ার ফলে এলাকার অনেক নিরহ কৃষক পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মালিক পক্ষ: জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদুল হক, কামাল উদ্দিন, মৌলানা মঞ্জুর আহমদ, মহসিন সিকদার, রুহুল আমিন সিকদার, ইলিয়াস সিকদার, নুরুল আজিম সিকদার, নুরুল আবছার সিকদার, রুহুল কাদের সিকদার, মোজাম্মেল হক শিকদার, ফাতেমা বেগম স্বামী মৃত্যু ইসলাম মিয়া সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, জমির মালিক মাহমুদুল হক এর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, মৃত্যু আলী আহমদ এর পুত্র মাহমুদুল হক, মৃত্যু মনির আহমদ সিকদার পুত্র মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ নুরুল কবির, মো: ইলিয়াস সিকদার, গণ তাদের মালিকানাধীন জমিতে দোকান নির্মাণ করিতেছে, নির্মান কাজের আনিত ঢেউটিন, সিমেন্ট এবং রাজ মিস্ত্রিদের সমস্ত যন্ত্রপাতি হঠাত করে লেয়াকতের পালিত বাহীনির সদস্যরা নিয়ে গেছে বলে জানাই উল্লেখিত মালিক পক্ষ।,এতে তাদের কমপক্ষে দশ/ পনের লক্ষাদিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানান তারা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment