মোঃ মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া (কক্সবারাজা):
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় কুতুবদিয়ায়ও সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে তার মধ্যে রোগী ও মালবাহি গাড়ী চলাচল করতে পারবে। এছাড়া সকল যানবাহনের মধ্যে রিক্সা চলাচলও বন্ধ থাকায় সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিক্সা চালকগণ। সংসারে অনাহরের কথা চিন্তা করে কিছু রিক্সা চালক রিক্সা বাহির করলেও মানুষ বাড়িতে অবস্থান করায় ভাড়া হচ্ছেনা। ফলে সংসারের খরচ জোগাড় করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রিক্সা চালকসহ দিনমজুর।
এলাকায় যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখতে চাইছেন। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করছেন, যাঁদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ রয়েছে, তাঁরা না হয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে জমা করতে পারছেন, কিন্তু যাঁদের হাতে এত টাকা নেই, যাঁরা সামান্য অর্থ দিয়ে রোজ জিনিস রোজ কিনে আনেন, তাঁদের কী হবে? তবে অত্রি দরিদ্র লোকদের পাশে দাড়ানো আহবান জানিয়েছেন কুতুবদিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর। তবু, দারিদ্রদ্যের আতঙ্ক অসংখ্য মানুষের মধ্যে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
দরবার রাস্তার মাথার রিক্সা চালকের মধ্যে জহিরুল ইসলাম জানান- করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নিদের্শ অনুযায়ী আমরা রিক্সা চলাচল বন্ধ রেখে বাড়িতে অবস্থান করছি। আমরা রিক্সা চালকগণ অতি দরিদ্র লোক। আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস রিক্সা চলা। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে যা পায় তা নিয়ে আমাদের কোন রকম সংসার চলে। রিক্সা চালিয়ে আয় করতে না পারলে আমাদের অনাহরে থাকতে হয়। রিক্সা চালকরা কারো কাছে টাকা হওলাত চাইলেও দিতে চাইনা। চালকের মধ্যে অনেক পরিবার অনাহারে রয়েছে। আমরা রোজ এনে রোজ খাই।
এদিকে বাবুনী পাওয়ার প্যাকের (রিক্সা গ্যারেজ) পক্ষ থেকে (২৭ মার্চ) বিকালে প্রায় ৪০ জন রিক্সা চালককে চাউল, ডাল, সবান বিতরণ করেছেন প্রাক্তণ মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, নারী জাগরণের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিংগা ভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম নুর নাহার সোলতানা। তিনি বলেন- আমি রিক্সা চালকদের সচেতনা, মাস্ক ব্যবহার, বাড়িতে অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দিই। পরবর্তীতে সম্বল অনুয়ায়ী রিক্সা চালকদের আর্থিক সহযোগিতা করবে বলেও জানান।
উপজেলা নির্বাহীঅফিসার জিয়াউল হক মীর এলাকায় বিত্তবানদের কে অতি দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, এলাকায় যাতে অতি দরিদ্র মানুষ অনাহারে না থাকে। স্বামর্থন অনুযায়ী দরিদ্র লোকদের পাশে দাড়ান। তবে সরকারিভাবে কোন বরাদ্ধ এখনো আসেনি, আসলে দেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment