একুশে মিডিয়া, প্রবাস রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ বাংলাদেশি প্রবাসী মারা গেছেন।<:একুশে মিডিয়া:>
এদের মধ্যে একেএম মনির উদ্দিন নামে ৬৩ বছরের একজন ক্যাব চালক ২৭ মার্চ মারা যান। একই দিন সফিউদ্দিন বেপারী নামে ৫৮ বছরের আরেক বাঙলাদেশি মারা গেছেন।<:একুশে মিডিয়া:>
নগরীর ব্রংক্স এলাকায় বৃহস্পতিবার মারা গেছেন ৭৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি এবং গত বুধবার মারা গেছেন ব্রুকলিন এলাকার ৪৫ বছরের মোছাম্মদ আক্তদারি।<:একুশে মিডিয়া:>
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এ নিয়ে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জন বাংলাদেশি মারা গেলেন।<:একুশে মিডিয়া:>
সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জানান, মনির গত ৫ দিন তিনি এলমহার্স্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার কুইন্সের এলমহার্স্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হলুদ ক্যাব চালিয়ে তিনি জীবন ধারণ করতেন। মনির একই সঙ্গে নিউইয়র্কের একটি মসজিদে স্বেচ্ছায় মুয়াজ্জিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।<:একুশে মিডিয়া:>
বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, সফি উদ্দিন চাচা এলমাস্ট হাসপাতালে শুক্রবার মারা গেছেন। তিনি কুইন্সের করোনা অঞ্চলে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার তার ছেলে মারা গেছে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে। আমরা তাদের দাফনের ব্যাবস্থা করছি আমাদের তহবিল থেকে। আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং তাদের সহযোগিতা করছি।<:একুশে মিডিয়া:>
কমিউনিটি একটিভিস্ট রাজীব আহসান বলেন, ৭৭ বছর বয়সী ওই বাঙলাদেশি মন্টিফেয়ার হাসপাতারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নঁওগা জেলার ওই ব্যাক্তির পরিবারের আরও ৫ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারানা করছে। হাসপাতাল থেকে মৃতের পরিবারকে বাসায় পাঠানো হয়েছে।<:একুশে মিডিয়া:>
মন্টিফেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমাদের হাসপাতালে নতুন রোগীর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আপনারা গুরুতরভাবে আক্রান্ত হলেই কেবল হাসপাতালে আসবেন। তার আগে নিজের বাসায় থাকবেন দয়া করে।<:একুশে মিডিয়া:>
বোর্ড অব ইলেকশনের সদস্য মাজেদা আক্তার বলেন, ব্রুকলিনের বাসিন্দা মোছাম্মদ আক্তদারি নগরীরর ব্রকডেল হাসপাতালে মারা যান। তিনি কোনো কাজ করতেন না। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারানা করছে তার পরিবারও আক্রান্ত হতে পারে। তাই তাদেরকে নিজ ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।<:একুশে মিডিয়া:>
এর আগে ২৪ মার্চ মঙ্গলবার চারজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ। তাদের মধ্যে ৬০ বছরের আবদুল বাতেন, ৭০ বছরের নুরজাহান বেগম এবং ৪২ বছরের এক বাংলাদেশি প্রবাসী নারী এবং ৫৯ বছরের এ টি এম সালাম।<:একুশে মিডিয়া:>
২৩ মার্চ মারা গেছেন ৩৮ বছরের আমিনা ইন্দ্রালিব তৃষা এবং ৬৯ বছরের মোহাম্মদ ইসমত। আগের সপ্তাহে মারা গেছেন মোতাহের হোসেন ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজন বাংলাদেশি।<:একুশে মিডিয়া:>
একুশে মিডিয়া/এমএসএ<:একুশে মিডিয়া:>
No comments:
Post a Comment