সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার আওতাধীন সোহাগপুর কাপড়ের হাট ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ এনে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন করেছেন এক ইজারাদার। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে ইজারাদার মো: আলী মন্ডল বলেন, বাংলা নতুন বছরের জন্য সোহাগপুর হাট-বাজার ইজারা দিতে সম্প্রতি পৌরসভা থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। তিনিসহ ৪জন ওই দরপত্রে অংশ নেন।
টেন্ডার কমিটি দরপত্র যাচাই-বাচাইয়ের সময় আয়বুল ইসলাম নামে একজনের দরপত্রে ক্রটি থাকায় সেটা বাতিল করে দেন। ২ কোটি ২১ লাখ টাকা দরে টেন্ডার কমিটি তার দরপত্রটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে গন্য করে মতামতসহ মেয়র বরাবর দাখিল করেন।
কিন্ত নিজের লোক ইজারা না পাওয়ায় পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস কোন কারন ছাড়াই ঘোষিত টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে ১৭ মার্চ পুনরায় দরপত্র আহবান করেন। পুনরায় ঘোষিত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় মেয়র তার নিজের ক্ষমতাবলে নিজের পছন্দের ব্যক্তি আয়বুল ইসলামকে ইজারাদার হিসাবে চুড়ান্ত করেছেন।
এ অবস্থায় টেন্ডার কমিটি ১৯ মার্চ সভা আহবান করলেও অজ্ঞাত কারনে তা স্থগিত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করা হয়েছে বলে সংবাদ সন্মেলনে উল্লেখ্য করেন মো: আলী মন্ডল।
এ বিষয়ে টেন্ডার কমিটির আহবায়ক পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল রানা বলেন, দরপত্র যাচাই-বাচাই শেষে ৭ সদস্যের টেন্ডার কমিটির মতামতের ভিত্তিতে মো: আলী মন্ডলকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে গন্য করে মতামতসহ মেয়র বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছিলাম। কিন্তু মেয়র সেটি গ্রহন না করে ঘোষিত টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করেছিলেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষে নিজস্ব ক্ষমতাবলে বিধি মোতাবেক প্রথম টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করা হয়েছিল। তাতে আমরা সফল হয়েছি। পুনরায় টেন্ডারে আগের দরের চেয়ে আমরা ২০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব পেয়েছি। এ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম হয়নি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment