এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গ্রাম্য ঝামেলাকে কেন্দ্র করে আলোচিত জামাল হত্যা মামলার বাদী মোসা. জোহরা আক্তার ও একই মামলার স্বাক্ষী মো. পুলক আকবরকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক বারটার সময় এ হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের চাপালিয়া পাড়ায় হাজী বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের ছেলে টুটুল ও একই গ্রামের মাঝি বাড়ীর আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে নয়নের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই বাড়ীর লোকজন এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পরিস্থিতি শীতল হয়ে যাওয়ার পর একই দিন রাত বারটার সময় অস্ত্র সহ প্রায় দুই শতাধিক অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে মাঝি বাড়ীর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জোহরা আক্তার ও ছেলে পুলক আকবরের উপর হামলা চালায়। এসময় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা জোহরার বাড়ী ঘর সহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ী ঘরে ভাংচুর চালায় এবং ‘জামালকে হত্যা করেছি যে কিছু হয়নি, তোদেরকে মেরে ফেললে কি হবে’?
এমন কথা বলে চিৎকার ও হুংকার দিতে থাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি মোসা. জোহরা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ছোট খাটো কিছু আঘাত পেলেও আল্লাহর মেহেরবানীতে এ যাত্রায় আমরা বেঁচে গেছি। এই হামলার পেছনে একটি কুচক্রী মহলের হাত রয়েছে। মূলত আমি জামাল হত্যা মামলার বাদী।
আমার ছেলেও ওই মামলার স্বাক্ষী। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে একই মামলার একজন স্বাক্ষীকে সন্ত্রাসীরা নিশংসভাবে হত্যা করেছে। এখন তারা আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ছোট ঘটনার সাহায্য নিয়েছে। জামাল হত্যা মামলার আসামীরা প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি ২০১৬ সালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় জিডি করেছিলাম। শনিবারের ঘটনায় আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
আমি আশা করছি পুলিশ প্রশাসন এবিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিবে।” এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. মনির জানান, গুনবতীতে মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
এ ঘটনায় চাপালিয়া পাড়ায় কয়েকটি বাড়ী ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা। প্রতিপক্ষের হামলায় একজন প্রতিবন্ধী সহ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে আমাদের গাড়ীতে করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করি। হামলার ঘটনায় কোনো মামলার বাদী আহত হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment