মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম:
বিশ্বের ২১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনা, বাংলাদেশেও এই ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কথা বলা হলেও আইনের এত কড়াকড়ি থাকার পরেও ফটিকছড়ির বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন সকালে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। সে সাথে মাঠে চলছে জমজমাট খেলার আসর ও গ্রাম্য দোকানের আড্ডা।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট ও পাইন্দ বৃন্দাবন হাট বাজার (মাদরাসার মাটে) গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেখানে মানুষের মধ্যে দূরত্ব ছাড়াই কেনা বেচার ধুম লেগেছে। প্রশাসন যতক্ষণ থাকে মানুষ সচেতন ততোক্ষণ তারপরেই যেন ক্রেতাদের মধ্যে চাঁদরাতের ন্যায় আমেজ শুরু হয়।
বিবিরহাট বাজারে আসা ক্রেতা সাইফুদ্দিন বলেন, ক্রেতাদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা দেখায় যাচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে একজন আরেকজনের গায়ের ওপর গিয়ে পড়ছে। বেশিরভাগ দোকানীরা মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখছে না, উন্মুক্তভাবে হাঁচি-কাশি দিচ্ছে এতে করে সংক্রমিত কেউ থাকলে সবার মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে।
একইচিত্র দেখা যায় নাজিরহাট বাজারেও। ক্রেতারা জানায়, কেউ রমজানের বাজারের জন্য, কেউ ঔষুধের জন্য আবার কেউ বা এসেছে অন্যজনের সাথে।
বৃন্দাবন মাদরাসা সংলগ্ন কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, যে যার মত দূরত্ব ছাড়াই স্বাভাবিক ভাবে বেচা-কেনায় মগ্ন, অনেকের মুখে মাস্কও নেই।
বৃন্দাবন হাটের পাশের বাসিন্দা ফয়জুল কবির বলেন, যেভাবে এই মানুষগুলো অসচেতন মনে হচ্ছে ঘরে ঘরে বাজার নিয়ে যাচ্ছেনা, বরং করোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সবাই! এই অবস্থা যদি চলমান হয় তবে আমাদের করুণ সময় অতি সন্নিকটে।
ফটিকছড়ির বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, খেলার মাটে দলবদ্ধ হয়ে খেলা চলছে, গ্রামের চা'য়ের দোকান বাইরে তালা দিয়ে ভিতরে খোলা, শহর থেকে এসে অবাধে আড্ডা জমিয়েছে অনেকেই।
নাম গোপনে রাখা এক যুবক জানায়, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের বাশি মহাজনের হাটে অনেক দোকানে বাইরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে আড্ডা যেখানে অনেকেই শহর থেকে গ্রামে এসেছে।
জানতে চাইলে জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ সায়েদুল আরেফিন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করছে মানুষকে সচেতন করতে কিন্তু জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের পক্ষে একা কিছুই করা সম্ভব না।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment