কালীগঞ্জে ছবি তোলার পর ত্রাণ কেড়ে নিল যুবলীগ নেতা ছমির ও লিটন ! - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 8 April 2020

কালীগঞ্জে ছবি তোলার পর ত্রাণ কেড়ে নিল যুবলীগ নেতা ছমির ও লিটন !


একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
এবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রান দেওয়ার পর যুবলীগের এক নেতা কেড়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
গত রোববার কালীগঞ্জের বলিদাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিষয়টি ফাঁস করে দেন সুফিয়া খাতুন নামে এক হতদরিদ্র মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন গত রোববার বিকালে তিনি ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। ত্রাণের প্যাকেট সামনে নিয়ে ছবি তোলার পর তা আবার কেড়ে নেওয়া হয়।
এরপর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে। সুফিয়া বলিদাপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, গত রোববার বিকালে বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়।
পৌরসভার গাড়িতে করে ত্রাণ নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ত্রাণ বিতরণ করতে মাঠে আসেন। তারপর তাদের সামনে দেওয়া হয় ত্রাণের প্যাকেট। এরপর ত্রাণ বিতরণের ছবি তোলা হয়। ত্রাণ বিতরণ শেষে মাগরিবের আযান দেওয়ায় স্থানীয় সাংসদ ও পৌর মেয়র বিদ্যালয় মাঠ ত্যাগ করেন। এরপর অসহায় কিছু ব্যক্তিদের বলা হয় আপনাদের নাম তালিকায় নাই।
তাদের কাছ থেকে ত্রাণের প্যাকেট কেড়ে নেন বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন। একই গ্রামের বাহাদুর মন্ডলের স্ত্রী সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন, আমার স্বামীর বয়স প্রায় ৮০ বছর। একটা মাত্র ছেলে ভাংড়ির ব্যবসা করে। অনেকদিন ধরে কাজে যেতে পারছে না।
গত রোববার চাল দেয়ার পর আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সমীর নামের এক ছেলে চাল কেড়ে নেয় বলে সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন জানান, যাদেরকে ওই সময় ত্রান দেওয়া হয়েছিল তাদের তালিকায় নাম ছিল না।
এ কারণে ত্রাণ নিয়ে তালিকা ভুক্তদের দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা বলেন, আমি সেখানে ত্রান দিতে গিয়েছিলাম। তবে ত্রাণ কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমি তো কিছুই জানিনা।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages