একুশে মিডিয়া, মুতমত রিপোর্ট:
লেখক- মোরশেদ মানিক:
বিরামপুরে স্বাস্থ্য সেবা ও মানবিকসহায়তাপ্রদানেবিরল ব্যক্তিত্ব ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌসহিমেল। যিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিতে নিজেকে সব সময়প্রস্তুক রেখেছেন। এছাড়াও “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” নামে ফেইজবুক পেজের মাধ্যমে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে অসহায়দের সহায়তা দিয়েই চলছেন।
এই গ্রুপের এডমিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী।
কোনো অভিযোগ নেই ,যতক্ষন প্রাণ আছে তক্ষন সেবা দিয়ে যাব , এমনটাই বলেছেন ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল। তিনি আরও বলেছেন শুধু স্বাস্থ্য সেবা দিয়েই করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয় তাই “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর মাধ্যমে সম্বনিত উদ্যোগ নেয়াহচ্ছে।
ডা. শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল ও আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী দুজনেরই পরিবার ইতিপূবে বিরামপুরের নানা সংক টেবিরামপুর বাসীর পাশে ছিলেন আন্তরিকতার সাথেই।
ডা. হিমেলের পিতা এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ছিলেন, বহু গুণে গুনান্নিত। জাতীয়পযায়েররাজনীতিক (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয়যুবলীগের প্রেসিডিয়ামসদস্য, দিনাজপুর জেলাআওয়ামীলীগেরসাবেকসহ- সভাপতি, জেলাযুবলীগেরসাবেকসভাপতি, রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রলীগেরসাবেকআহবায়ক) ছাড়াওতিনিছিলেনবহুকলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতাও পৃষ্টপোষক। তিনি নবাবগঞ্জ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ছিলেন প্রতিষ্ঠালগ্নে।বিরামপুর মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালিন জমিদাতা হয়ে একাডেমিক কাযক্রম পরিচালনায় তিনি শতভাগ ভুমিকা নিলেও এমপিও ভুক্তির পর এক রকম বিতাড়িতক রাহয়তাকে। কিন্তু আবদুস সালাম আমান বিরামপুরের উন্নয়ন কাজ থেকে নিজেকে কথনই গুটিয়ে রাখেন নি। বিরামপুর ডিগ্রী কলেজের সিড়ি ঘর ও দোতলার উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে টিন সেড বিরামপুর থানা মসজিদকে দক্ষ টিমওয়াকের মাধ্যমে থানা প্রশাসনও দানশীল ব্যক্তি সমন্বয়ে আজবহুতলভবন।
ডা. হিমেলের পিতা শিক্ষা নুরাগী ও বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সালাম আমান ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বৈকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগকরেন (ইন্না... রাজেউন)। ১ মার্চ রবিবার দুপুরে বিরামপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লী জানাজায় অংশ নেন এবং পাশ্ববতী থানা কবর স্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। পিতার মৃত্যু শোককা বুকরতে পারেন নি ডা. হিমেলকে। তিনি শোককে শক্তিতে পরিনত করেই করোনা যুদ্ধে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সম্মুখ যৌদ্ধার ভুমিকা পালনের পাশাপাশি অসায় মানুষদের আাথিক ও খাদ্য সহায়তা দিতে গ্রুপওয়ার্ক করছেন ফেইজবুক পেইজ “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর মাধ্যমে।
ফেইজবুক পেইজ “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর এডমিনের দায়িত্ব পালনকারী আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরীর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আ: রাজ্জাক চৌধুরী বিরামপুরের সকল উন্নয়ন কাজে অংশ নিয়েছেন আন্তরিকতার সাথেই। বিরামপুর থানার গোলঘরটি উত্তর বঙ্গের ১৬ জেলার মাইলফরক। যেটি বিরামপুর থানার তৎকালীন ও সিতাহারু লইসলাম ও কমকতাদের প্রস্তাবে নিজ খরচে গড়ে দেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রাজ্জাকের স্ত্রী ও আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী’র মা বেবী সদ্য প্রয়াত। আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী ও মায়ের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিনত করেই মানব সেবাই নিরল সভা বে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
পিতৃ হারা ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল ও মাতৃ হারা আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী যুগলের নেতৃত্বে “বিরামপুর করোনাপ রিস্থিতি” সহায়তার ভুমিকা আমরা যেন অন্তরে ধারন করি অনন্তকাল । প্রয়াত এডভোকেট আবদুস সালাম আমানের প্রতি বিরামপুর মহিলা কলেজ যে অবজ্ঞা করেছিল, আমরা যেন তেমনটা না করি।
কলাম লেখক
মোরশেদ মানিক (সাংবাদিক)
সম্পাদক: পজিটিভবিডিনিউজ ২৪ ডটকম
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment