এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে মাহবুবুর রহমান রাতুল(১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে নানার বাড়ি জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের তালগ্রাম মাস্টার বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রাতেই তাকে নিজ বাড়ি কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে নেয়া হয়। এমন খবরে বদরপুর ও তালগ্রামের পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
করোনায় মৃত্যু হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য বধুবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ গোলাম কিবরিয়া টিপুর নেতৃত্বে একটি টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে। তালগ্রাম ও বদরপুর গ্রাম পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাহবুবুর রহমান রাতুল পাশ্ববর্তী ধর্মপুর নাজিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখা নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে ফি নিয়ে বিদ্যালয়ে জমা দেয়ার কথা বলে সে আর বাড়ি ফিরেনি।
বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গত ১০-১২ দিন আগে সে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের তালগ্রামের মাস্টার বাড়ির নানা শাহ আলমের ঘরে যায়। কোথা থেকে এসেছে সে কাউকে কিছুই বলেনি। মঙ্গলবার রাত বারটায় হঠাৎ নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে মাহবুবুর রহমান রাতুলের মৃত্যু হয়।
রাতেই আত্মীয় স্বজনরা রাতুলের লাশ নিজ বাড়ি বদরপুর গ্রামে নিয়ে যায়। হঠাৎ মৃত্যুর খবর দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রামে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। পরে করোনা সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ হাবিবুর রহমান।
অপরদিকে জগন্নাথদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জানে আলম ভুঁইয়া তালগ্রামে গিয়ে মাস্টার বাড়ির সকলকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেন এবং কোন প্রয়োজন হলে তাকে জানানোর পরামর্শ দেন।
এছাড়া কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি মাহবুব হোসেন মজুমদার রাতুলের লাশ দাফন পর্যন্ত ওই গ্রামে অবস্থান করে ফলাফল না আসা পর্যন্ত সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘যুবক যেখানে মারা গেছে, সে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে’।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment