মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পল্লী বিদ্যুতের বিল আদায় কার্যক্রম।জরুরি সেবার নামে যথারীতি বিদ্যুৎ অফিস খোলা রেখে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বিল। এমনকি বিল দিতে আসা গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য কোন সার্কেল বা বিত্তও করা হয়নি। এতে করে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
করোনার সময় গড় বিলের নামে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ অফিসে বসে ইচ্ছেমত মনগড়া অতিরিক্ত বিল করায় গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা বলছেন, তাদের মিটারের রিডিং না দেখেই গত বছরের বিলের দ্বিগুণ থেকে আড়াইগুণ বেশি করে বিল তৈরি করে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর লোকজন বাঁশখালী উপজেলার গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউন ও সরকারি ছুটির কারণে বিলের জরিমানা নেওয়া হবে না বলা হলেও ব্যাংকে বিল নিয়ে গেলে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে! অন্যদিকে বাঁশখালী উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করছেন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
এই দিকে বাঁশখালী উপজেলার মোশারাফ আলী মিয়ার বাজার এলাকায় বকেয়া বিদ্যুৎ আদায় করেন এবং বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হুমকি দেন বাঁশখালীর গুনাগরী পল্লী বিদ্যুত অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল ১১টার দিকে এমন দৃশ্য দেখা স্থানীয় লোকজন জমায়েত হন। পরেবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।অবশেষে বাহারচরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পল্লী বিদ্যুতের অন্যায় কর্মকান্ড বন্ধ করে দেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment