মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহারে মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের সাথে মুসল্লী আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মনির মোল্লার জিকির করা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মনির মোল্লা কে মারধর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের বিরুদ্ধে। মনির মোল্লার মাথায় দেয়া নবীর সুন্নাত টুপি খুলে নিয়ে তার পুরুষাঙ্গে ও বায়ু পথে ঘষে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনা নিয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী। উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর খাঁজার হাট-বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৃত গনি শিকদারের ছেলে মো. আক্কাস শিকদার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকায় চরম উক্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে আক্কাস শিকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত ১৮ মে আমার মসজিদের দায়িত্বে থাকা নূর হোসেনকে মনির মোল্লা জিকির করতে নিষেধ করে। এনিয়ে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরের দিন বিকেলে মনিরের সাথে কথা বলার সময় দুজনে আবার উত্তেজিত হয়ে হাতাহতি করে। এসময় আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মনির ও নূর হোসেন কে চড় থাপ্পড় মারি। এবং তিনি এটিও স্বীকার করেন যে, নূর হোসেন মনির মোল্লার টুপি নিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে। তাই তিনি মোয়াজ্জেম নূর হোসেন কে মসজিদ থেকে বিদায় করে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নূর হোসেন একজন গরু চোর ছিলেন ও লেখা পড়া কিছু জানে না। তার পরেও আক্কাস শিকদার তাকে মোয়াজ্জেম হিসেবে মসজিদে রেখেছেন এবং তার পক্ষ নিয়ে একটি নিরীহ ছেলেকে পিটিয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী মনির মোল্লা ও এলাকাবাসী জানান, গত ২৪ রমজান সেহরির শেষ সময় নূর হোসেন জিকির করায় সঠিক ভাবে অন্য মসজিদের ঘোষণা শুনতে পারছিল না। তিনি সেহরির সময় কতটুকু বাকী আছে তা না বলে শুধু জিকির করতে ছিল। তাই মনির মোল্লা নূর হোসেনকে সেহরির সময় জিকির করতে নিষেধ করে এবং সেহরির পরে জিকির করতে বলায় তিনি রেগে যায়।
১৯ মে বিকেল ৫ টায় মনির মোল্লাকে আক্কাস শিকদার ও নূর হোসেন ডেকে নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে কিল, ঘুষি, লাথি ও জুতা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। মনিরের মাথায় দেয়া নবীর সুন্নাত টুপি ছিনিয়ে নিয়ে নূর হোসেন পুরুষ অঙ্গে ও বায়ু পথে ঘষে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় ঐ এলাকার মুসল্লীদের মনে খোবের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে শুক্রবার বিকেলে সালিশ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ জড়ো করে সালিশ করা ঠিক নয় বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরো আক্তার রিবা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment