একুশে মিডিয়া, বিশেষ প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ‘হত্যা মামলা’র ১ আসামি নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মে) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হত্যা মামলার আসামি স্থানীয় নুরুল আনছার প্র. কালু (৪১) ওই এলাকার দলিলুর রহমানের পুত্র। ঘটনাস্থল হতে একটি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই ব্রিক ফিল্ড মালিক নুরুল আবছার ও জয়নাল আবেদীন ঝুন্টু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে জয়নাল আবেদীন ঝুন্টু’র দুই ভ্রাতুষ্পুত্র মাদ্রাসা ছাত্র মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ ও হাফেজ মো. ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হাফেজ মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ মারা যায়। মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দুপুরে মারা যায় অপর গুলিবিদ্ধ হাফেজ মো. ইব্রাহিম।
এ ঘটনায় জয়নাল আবেদীন ঝুন্টু বাদী হয়ে নুরুল আবছার ও তার ছোট ভাই নুরুল আনছারসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে ওই এলাকায় এ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন করলে পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষন করে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে ওই ২ মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলার আসামি নুরুল আবছারের ছোট ভাই নুরুল আনছার প্র. কালু (৪১)। ঘটনাস্থল হতে একটি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার একুশে মিডিয়াকে বলেন, ‘বাহারছড়ায় সম্প্রতি ২ মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনাকালে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল হতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হত্যা মামলার আসামি নুরুল আনছারের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment