মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরে জহিরুল ইসলাম নামে এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে একই দিন ১২ ঘন্টার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা বাহারছডা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইলশা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় আরেক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছেে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ মে) রাত সাড়ে নয়টার সময় মোহাম্মদ মিয়া বাপের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়া ব্যক্তির ইলশা গ্রামের নেছার আহমেদ এর ছেলে খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৫)।
গুলিবিদ্ধ হওয়া আরেকজনকে গুরুত্ব আহত হন। আহতকে আশংকা জনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তি হলেন, একই এলাকার আবু সালেক এর ছেলে ইব্রাহিম (১৭) তাকে আশংকা জনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে আগে থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছিল দীর্ঘদিন যাবত।
উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামের অবস্থিত মালিকানাধীন মদিনা ব্রিক ফিল্ডকে নিয়ে স্থানীয় নুরুল আবছার ও জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা ঝন্টু দুপক্ষে মালিকানাধীন বাদী করে দীর্ঘদিন যাবত ‘মদিনা ব্রিক ফিল্ড’কে কেন্দ্র দুইটি গ্রুপের মাঝে আধিপত্য বিস্তারে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা একুশে মিডিয়াকে জানার মঙ্গলবার এশারের নামাজের পর পর হঠাৎ করে গোলাগুলির আওয়াজ শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরপরই খালিদ বিন ওয়ালিদ নামের এই ব্যক্তিটি তার বাড়ীর সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
আমরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলে বলে জানা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার মুঠোফোনে একুশে মিডিয়াকে বলেন, বাহারচরা ইউনিয়নে গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি নিজেই পুলিশের একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। এ ঘর্টনায় এক যুবক হন তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তর করে আইনের আওতায় আনা হবে। আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা তৎপর রয়েছে বলেও ওসি জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment