একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্ট-ঢাকা:
শিরােনামমাক্ত বিষয়ে ২২ মার্চ/২০২০ তারিখে অথরিটির সার্কুলার/লেটার নং-৫৩ এর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
২। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করােনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় উল্লেখিত সাকুলার/লেটারের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণীকরণের বিষয়ে এ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ০১ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে ঋণের শ্ৰেণীমান যা ছিল, আগামী ৩০জুন২০২০ পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে কোন ঋণের শ্ৰেণীমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণীকরণ করা যাবে।
৩। কোভিড়-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকা দেখা দেওয়ায় শিল্প, সেবা ও ব্যবসা থাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বর্ণিত বিষয়াবলী বিবেচনায় এবং ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা ও ঋণ শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাবলী অনুসরণীয় হবে:
| ক। ০১ জানুয়ারী/২০২০ তারিখে ঋণের শ্ৰেণীমান যা ছিল ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর/২০২০ পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদপেক্ষা বিরুপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে কোন ঋণের শ্রেণীমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণীকরণ করা যাবে। অর্থাৎ করােনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশােধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টম্বর/২০২০ পর্যন্ত প্রাপ্য কোন কিস্তি/ক্ষণকে বকেয়া/খেলাপী দেখানাে যাবে না।
খ। এই সংকট সময়ে এমএফআই কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাদেরকে কিস্তি পরিশােধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোন আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশােধে ইহুক হলে সে ক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোন বাধা থাকবে না।
০৪। এছাড়া গ্রামীণ ক্ষুদ্র অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে অথরিটি কর্তৃক ইতােপূর্বে জারিকৃত সকুলার/লেটার নং-৫৭, মে/২০২০ প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ, সঞ্চয় উত্তোলন/ফেরত, জরুরী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, রেমিটেন্স সেবা ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ৫৭ নং সার্কুলারে উল্লেখিত অন্যান্য নির্দেশনাবলী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ঘােষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
০৫। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী আইন, ২০০৬ এর ধারা ৯(চ) ও ধারা ৪৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশনা জারী করা হলাে। ০৬। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আপনাদের বিশ্বস্ত,
লক্ষ্মল চন্দ্র দেবনাথ
নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)
ফোনঃ ৮৩৩২৬৭৭ নম্বর- ৫৩,০৪,০০০০,২১,২২.০০৩.২০-১১৬(১)(১১)
তারিখঃ২৩/০৬/২০২০ইং
সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলাে (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়)
১. সিনিয়র সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
২. মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরাে, আগারগীও, ঢাকা।
৩, মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা।
৪. মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ইস্কাটন গার্ডেন রােড, ঢাকা।
৫. রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
৬, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন, আগারগাঁও, ঢাকা।
৭, বিভাগীয় কমিশনার (সকল)।
৮, জেলা প্রশাসক (সকল)।
৯, পিএস টু গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল, ঢাকা (গভর্নর মহােদয়ের সদয় জ্ঞাতার্থে)।
১০,পিএস টু প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব (প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মহােদয়ের সদয় জ্ঞাতার্থে)।
১১. পিএস টু মন্ত্রিপরিষদ সচিব (মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহােদয়ের সদয় জ্ঞাতার্থে)
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
উপপরিচালক মোবাঃ০১৫৫২৪৪০৯২১
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment