মো: মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া:
ককক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় করোনো মুক্ত রাখতে দিনরাত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর দ্বীপের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি কখনো জনসমাগম হওয়া মানুষকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠাচ্ছেন, কখনো বাজার, বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন, আবার কখনো পাড়া মহল্লায় ছুটচ্ছেন।
এছাড়াও শত ব্যস্তার মাঝেও এলাকায় খোজ-খবর নিয়ে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পাঠাচ্ছে। তার অগনিত মহৎ কাজের মধ্যে েফইসবুক স্ট্যাটাসে একটি বিরল কাজ তুলে ধরেন। যার অবিকল তুলে ধরা হলো। তিনি লিখেন আজ কক্সবাজার থেকে কুতুবদিয়ার অধিবাসী এক ভদ্রলোক ফোন করে জানালেন উনার চেক বই শেষ হয়ে গেছে। খরচের জন্য ব্যাংক থেকে উনার টাকা উত্তোলন করার খুব প্রয়োজন। উনার একাউন্ট সোনালী ব্যাংক, কুতুবদিয়া শাখায়। চেক বই নেওয়ার জন্য উনি কুতুবদিয়ায় আসতে চান। আমি উনাকে বুঝিয়ে বললাম আপনি এখন মারাত্মক করোনা আক্রান্ত এলাকা (রেড জোন) কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছেন। মহান আল্লাহর রহমতে আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় কুতুবদিয়া এখনও ভালো আছে। আপনি রেড জোন থেকে কুতুবদিয়ায় আসলেতো কুতুবদিয়া ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশংকা রয়েছে।
আপনি কুতুবদিয়া না এসে ব্যাংক থেকে চেক বইটি পাওয়ার ব্যবস্থা আমি যদি আপনাকে করে দিই তাহলেতো আপনার সমস্যাটার সমাধান হয়ে যায়। উনি জানতে চাইলেন, কিভাবে সম্ভব? আমি উনাকে বললাম, আমি দেখছি। আমি সোনালী ব্যাংক, কুতুবদিয়া শাখার ম্যানেজার সাহেবের সাথে কথা বলে উনার সমস্যাটির সমাধান বের করলাম এবং তা ঐ ভদ্রলোককে জানিয়ে দিলাম।
উনার অন্তত এই যাত্রায় আর কুতুবদিয়ায় আসতে হলোনা। এভাবেই আমরা সবাইকে বুঝিয়ে বলছি। কুতুবদিয়া আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছি। কুতুবদিয়ায় আগমন/বহির্গমণের ক্ষেত্রে আমাদের এই নিয়ন্ত্রণ বা কঠোরতা শুধুমাত্র কুতুবদিয়ার মঙ্গলের জন্য। দয়া করে আমাদের উপর মন খারাপ করবেন না। কুতুবদিয়াকে ভালো রাখার দায়িত্ব প্রিয় কুতুবদিয়াবাসীসহ আমাদের সকলের।
আপনাদের নিকট উপজেলা প্রশাসনের আকুতি: দয়া করে কেউ কুতুবদিয়াকে বিপদে ফেলবেন না। আপনার একটু সচেতনতাই পারে কুতুবদিয়াকে করোনা নামক মহাবিপদ থেকে রক্ষা করতে। তাই আসুন, করোনার ভয়াল থাবা থেকে কুতুবদিয়াকে মুক্ত রাখতে সকলে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখি। সবাই ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনার পাশেই আছি উপজেলা প্রশাসন। সরকারের দর্শন, জনসেবায় প্রশাসন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment