একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চুরি হওয়ার তিনটি গরু এক দিন পর উদ্ধার ও দুই চোরকে আটক করছে পুলিশ। উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড, ইলশা গ্রামের মাহবুবুল আলমের তিনটি গরু গত শনিবার (৬ জুন) রাত্রে বাড়ী থেকে চুরি হয়। বিষয়টি নিয়ে রোববার (৭ জুন) উত্তর বাঁশখালী জুড়ে মাইকিং করেন এবং বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম গঞ্জে গরুগুলো খোঁজা খোঁজি করেন গরুর মালিক মাহবুবুল আলম ও তার পরিবারের লোকজন।
সোমবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পালেগ্রামে তিনটি চোরা গরু বিক্রি হচ্ছে বলে সংবাদটি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার গরু চুরির মাইকিং শুনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে বিষয়টি আরো দুষ্টু গোছালো হয়। অন্যদিকে গরুর মালিকও চুরি হওয়ার গরুগুলো পশ্চিম পালেগ্রামে বেচা-কেনা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছেন, পরে এলাকাবাসী ও গরুর মালিক বাঁশখালী থানা পুলিশকে খবর দেন। বাঁশখালী থানাধীন রামদাশ হাঁট তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ সোমবার দিবাগত গভীর রাত্রে কালীপুর ইউনিয়ন পশ্চিম ইলিয়াস পাড়ায় অভিযান চালিয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদের বাড়ী সংলগ্ন আটককৃক আসামী ইব্রাহিমের বাড়ী থেকে ৩টি গরু উদ্ধার করেন। এসময় দুই চোরকে আটক করেন পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, পশ্চিম পালেগ্রাম ইলিয়াস পাড়ার মৃত আলি আহমদের প্রকাশ পুতন আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৪০) ও আহমদুর রহমানের ছেলে জাফর আহমদ প্রকাশ শাহ মিয়া (৪৯)।
বাহারচড়া ইউনিযনের ইলশা গ্রামে ময়ন আলী চৌধুরী বাড়ীর গৃহকর্তা মাহবুব আলম চৌধুরীর পালিত প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু। আটকতৃত দুই জনেই গরু তিনটি ৮০ হাজার টাকা দামে ক্রয় করছে বলে একটি ভুয়া রশিদ দেখান পুলিশকে।
আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত ২ চোরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উদ্ধারকৃত গরু গুলো আদালতের মাধ্যমে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও রামদাশ হাট তদন্তকেন্দ্র পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম ইলশা এলাকা থেকে চুরি হয় ৩টি গরু। গরু ৩টির মালিক ওই এলাকার ময়ন আলী চৌধুরী বাড়ির মাহবুবুল আলম চৌধুরী। গরু ৩টির সন্ধানের জন্য পুকুরিয়া, কালীপুর, বৈলছড়ি, সাধনপুর, খানখাবাদ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করান মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, পশ্চিম পালেগ্রামের একটি গরু চোরের চোর সেন্ডিকেট রয়েছে, তারা বিভিন্ন সময়ে এধরণের অপক্রমে জড়িৎ থাকার অভিযোগও পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মোটা অংকের আয় করে আসছে। এবং এই ঘটনা থেকে বাচানোর জন্য ভূয়া রশিদটিও তাদের মধ্যেমে হয়েছে।
সূত্র জানা যায়, রামদাশ মুন্সির হাটটি চলমান ১৪২৭ সনের ইজারা পান পশ্চিম পালেগ্রামের আবু ছালেক, তিনি বাজার ইজারা পাওয়ার পর খন্ড ভাগে প্রতি হাট বা বাজারে মূল্যে নিধারণ করে আলাদা আলাদা উপ-ইজারা দেন। এতে গরুর বাজারের উপ-ইজারাদার পশ্চিম পালেগ্রামের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ।
এব্যাপারের বাজার ইজারাদার আবু ছালেক ও ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মুঠোফোন রিসিপ করেন নেই।
গরুর মালিক মাহবুব আলম চৌধুরী একুশে মিডিয়াকে বলেন, গরু তিনটি চুরি হওয়ার পর সন্ধানের জন্য আমরা পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং ও হাট-বাজারে পাহারা দিয়েছি এবং রামদাশ মুন্সির হাটে রবিবার গরুর বাজার থাকায় আমরা ৫জন রবিবার সারাদিন গরুর বাজার চেয়ে কোথায় যায়নি গরু গুলো পাওয়ার জন্য কিন্তু বাজারে গরুগুলো আমি বা আমরা দেখি নেই। এইটা তারা টাকা বিনয়মে ভুয়া রশিদ সংগ্রহ করছে। এই ব্যাপারে সঠিক বিচারের প্রার্থণা করি।
এ ব্যাপারে রামদাশ হাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ এসআই মোস্তাফা কামাল একুশে মিডিয়াকে বলেন, ‘বাহারছড়ার মধ্যম ইলশা থেকে চুরি হওয়া ৩টি গরু কালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পালেগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চুরির কাজে জড়িত থাকায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিউজটি প্রকাশের কয়টি শব্দ ভুল সংশোধন করা হয়েছে
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment