একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:
হাসনাইন আহমেদ হাওলাদার: শিক্ষক ও কলামিস্ট ||
আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের সাধ্যমতো সেবা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করাই মানবধর্ম। এই মহৎ ও পুণ্যময় কাজই সর্বোত্তম ইবাদত। অসহায়-নির্যাতিত মানুষের দুর্দিনে সাহায্য, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মন-মানসিকতা যাদের নেই তাদের ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। সুতরাং নামাজ, রোজার সঙ্গে কল্যাণের তথা মানবিকতা ও নৈতিকতার গুণাবলি অর্জন করাও জরুরি।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেছেন, একজন মুসলমান যখন অপর মুসলমানের উপকারের জন্য গমন করে, তাকে ১০ বৎসর নফল ইতিকাফ করার চেয়েও বেশি সওয়াব দেওয়া হয়। আর আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য যে ব্যক্তি একদিন ইতিকাফ করে, জাহান্নামকে তার থেকে তিন খন্দক দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। প্রত্যেক খন্দকের ব্যবধান হলো আসমান থেকে জমিনের দূরত্বের সমপরিমাণ {মুসতাদরাকে ইমাম হাকিম, চতুর্থ খন্ড, ২৭০ পৃ:}
হজরত আবুহুরায়রা (রা:) ও হজরত ইবনে ওমর (রা:) থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, কোনো মুসলমান যখন অন্য মুসলমানের উপকারের জন্য অগ্রসর হয় এবং উপকারটি সম্পন্ন করে, তখন আল্লাহ তার মাথার ওপর ৭৫ হাজার ফেরেস্তা ছায়া সৃষ্টি করে দেন। এ ফেরেশতারা তার জন্য আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করতে থাকে। উপকার টা সকালে করা হলে বিকাল পর্যন্ত দোয়া চলে, আর বিকালে করা হলে ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। আর সে ব্যক্তির প্রত্যেক কদমে একটি করে গোনাহ মাফ হয় এবং একই সাথে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। [ইবনে হিব্বান মুনজিরি: ৩৮৬৮]।
No comments:
Post a Comment