একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
বড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর সুমন ব্যাপারী (৪৫) নামে একজনকে লঞ্চের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটা একটি অলৌকিক ঘটনা। আমরা ধারণা করছি, তিনি কোনো এয়ার টাইট রুমে অথবা কর্নারে আটকে ছিলেন। লঞ্চটি উঠানোর জন্য নাড়াচাড়া করলে ওই রুমে বাতাস ঢুকে এবং ওই বাতাসের সূত্র ধরে লোকটি বেরিয়ে আসেন’।
এ ঘটনায় ডুবুরিদের মনোবল আরও বেড়ে গেছে।জানা গেছে, সুমন ব্যাপারী (৩২) মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানার আবদুল্লাপুর গ্রামের ফয়জুল ব্যাপারীর ছেলে। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে ফয়জুল সবার ছোট। তিনি সদরঘাটে ফেরি করে ফল বিক্রি করতেন। সোমবার সকালে অন্যদের সঙ্গে তিনিও মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি ঘাট থেকে ওই লঞ্চে উঠে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।উদ্ধারের পরপরই তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ক্যজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়।’
সেখানে কিছুক্ষণ তাকে অক্সিজেন দেয়ার পর আশঙ্কা কেটে গেলে মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-৫ এর ২৩ নম্বর বেডে সহযোগী অধ্যাপক দূর্বা হালদারের অধীনে ভর্তি করা হয়’।
তিনি সুস্থ আছেন জানিয়ে ওই ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আমজাদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা তাকে অক্সিজেনসহ নিয়মানুযায়ী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।পানির মধ্যে এত ঘণ্টা থাকার পরও কীভাবে জীবিত থাকে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ডাক্তারি জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি। এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।’
বাংলাদেশ সিভিল ডিফেন্স অ্যান্ড ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, উদ্ধার অভিযানে লিফটং পদ্ধতিতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের সময় তাকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দেখতে পান এবং জীবিত থাকার সম্ভাবনা থেকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।তিনি বলেন, তিনি সম্ভবত লঞ্চের ইঞ্জিন রুমের ভেতর কোনো এক জায়গায় ছিলেন, যেখানে অক্সিজেন ছিল’।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment