একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
গ্রামীণফোন ও রবি’র প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব
সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও কন্টেন্ট ওয়েবে আপলোড ও প্রচার
করায় দুই মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।’
গতকাল
বুধবার (২৪ জুন) তথ্য অধিদফতর থেকে পৃথকভাবে এই দুই কোম্পানির প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়ে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হ ‘।
চিঠিতে বলা হয়- ‘আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব
সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন নগ্ন, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য, কাহিনী ও
সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট ওয়েবে আপলোড করে প্রচার করা হয়েছে বলে জানা
গেছে, বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে দেশের গণমাধ্যম
অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে প্রচার করেছে এবং সমাজে এর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া
সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক
ব্যবহার করে ওয়েবে আপলোড এবং প্রচার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান সরকারের
কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত কিনা এবং থাকলে তা সরকারের জানা
প্রয়োজন’।
ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন অশালীন ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড ও
প্রচার করা দেশের প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও সামাজিক মূল্যবোধের
পরিপন্থী বলেও জানানো হয় এই চিঠিতে’।
‘এ ধরনের সেন্সরবিহীন, নগ্ন ও অশালীন দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত
ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার দেশের প্রচলিত আইন যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
(সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ৬৯ ধারা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ও ৮
ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬
এর পেনাল কোড, ১৮৬০ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
এ ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার
আমাদের সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের পরিপন্থী। আপনার প্রতিষ্ঠানের মতো বৃহৎ
একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেই কাম্য নয়’।
উল্লিখিত ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড ও প্রচারে প্রতিষ্ঠান দুটির
সরকারি কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স থাকলে তার বিবরণসহ আগামী সাত দিনের
মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে,
করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওয়েব সিরিজের নামে
কুরুচিপূর্ণ কাহিনী ও সংলাপ দিয়ে ওয়েব সিরিজের নামে অশ্লীল ও নগ্ন ভিডিও
কন্টেন্ট প্রচার করছে। আর এ কারণে ফুঁসে উঠেছে এই সংশ্লিষ্ট
শিল্পী-কলাকুশলী ও বিনোদন প্রচার মাধ্যমগুলো।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন নির্মাতা বলছেন- ‘টাকা উপার্জনের অনেক মাধ্যম
আছে, আমাদের শত বছরের ঐতিহ্যে লালিত কৃষ্টি-কালচারকে কলুষিত করে এরকম
নোংরা বাণিজ্য কেন করতে হবে? সবাই রুচিশীল, মানবিক মূল্যবোধ, সামাজিক
শিষ্টাচার এবং সৃজনশীল মানসিকতা অন্তরে ধারণ করে সুস্থ ধারার বিনোদন
দর্শকদের উপহার দেয়ার চেষ্টা করা হয় যেন দর্শকরা তা সপরিবারে উপভোগ করতে
পারেন’।
কিন্তু ইদানীং ওয়েব সিরিজের নামে নির্মিত যেসব ভিডিওচিত্র আমরা দেখছি সেসব নিয়ে কিছু বলতেও ঘৃণা ও লজ্জা হয়।’
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment