মোঃ মামুনুর রশিদ, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
উপকার ভোগী সদস্য ও স্টাফদের সহযোগিতায়দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর বিটের ফাঁকা বনভূমিতে শাল বীজ রোপণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন জনাব মোঃ শামসুল ইসলাম, বিট কর্মকর্তা, হরিপুর বিট, চরকাই রেঞ্জ।
উল্লেখ্য যে, হরিপুর বিটের বনভূমি একসময় শালগাছে পরিপূর্ণ ছিল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পরেও শালবন ছিল মর্মে স্থানীয় লোকজনের মুখে শোনা যায়। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি তথা অন্যান্য জেলা হতে প্রচুর পরিমাণ বহিরাগত লোকজন এসে অত্র বিটে বাড়িঘর করায় বনভূমির উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়। বহিরাগত লোকজন তৎকালিন শালবন ভেঙ্গে, গাছ কেটে বিনষ্ট করে আবাদি জমি তৈরি করে। বিধায় প্রাকৃতিক শালবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে আশির দশকে জবরদখল কৃত বনভূমি উদ্ধার পূর্বক উড লট ও কৃষি বাগান সৃজন করা হয়।
এই মর্মে একটি গানের কথা মনে পড়ে যায়, "এ বিশ্ব ধরণী বানাইয়াছে সাই রব্বানী(সৃষ্টিকর্তা), যেখানে যা লাগে তা দিয়া।" অর্থাৎ এক একটি এলাকা, স্থান এক একটি বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। যেমন: রাজশাহী সুমিষ্ট আমের জন্য বিখ্যাত, দিনাজপুর সুগন্ধি রকমারি চাউল ও লিচুর জন্য বিখ্যাত, যশোর - বরিশাল নারিকেল - সুপারির জন্য বিখ্যাত, টাঙ্গাইল আনারসের জন্য বিখ্যাত, সিলেট চা ও কমলার জন্য বিখ্যাত।
তদ্রুপ বৃহত্তর দিনাজপুরের লালমাটি ধান ও লিচুর পাশাপাশি প্রাকৃতিক বন শাল গাছের জন্য বিখ্যাত। তাই মানুষের দ্বারা ধ্বংস কৃত প্রাকৃতিক শাল গাছ পুনরায় সৃষ্টির লক্ষে জনাব মোঃ আব্দুর রহমান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সামাজিক বনবিভাগ, দিনাজপুর মহোদয় তার উদ্ভাবনী চিন্তা ধরার আলোকে এবং নির্দেশে অত্র বিটে শাল বীজ রোপণ করা হয়। সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা, চরকাই রেঞ্জ, দিনাজপুর।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment