গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে দশম
শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে গতকাল রোববার গভীর রাতে গণধর্ষণের স্বীকার হন ।
এব্যাপারে রাত তিনটায় গোবিন্দগঞ্জ থানা ধর্ষিতার অভিযোগ প্রাপ্তির সঙ্গে
সঙ্গেই দু’ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষকেই পুলিশ
গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলো-
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাওভাংগা এলাকার নীল মাহমুদের পুত্র এনামুল হক (৩০),
আজিম উদ্দিনের পুত্র রেজাউল (৩২), ভোলা মিয়ার পুত্র ধলু (২৫), এজদুর
রহমানের পুত্র সুমন মিয়া (২৩) ও সাহারুল কাজীর পুত্র সাদ্দাম ওরফে সুজন
কাজী (২৬)।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার
ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দশম শ্রেণির ছাত্রী
তার প্রেমিকের সাথে রোববার রাত ১২টায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে ওই ৫
দুর্বৃত্তের খপ্পরে পড়ে। তারা প্রেমিককে মারপিট করে তার কাছ থেকে ওই
ছাত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে নাওডাঙ্গা গ্রামে ধর্ষক ধলুর বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
পরে ওই বাড়িতেই রাত ২টা পর্যন্ত ওই ৫ ধর্ষক ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ
করে। পরে তাদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে স্কুল ছাত্রীটি তার প্রেমিকের সাথে
গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে ধর্ষনের বিষয়টি অবহিত করে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সঙ্গে
সঙ্গেই এসআই মামুনের নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের একটি টিম ওই
ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে ধর্ষক ধলুর বাড়ি নাওডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে
আটক করে। পরে ধলুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর ৪ ধর্ষককেই দু’ঘন্টার মধ্যেই
আটক করে পুলিশ।
এব্যাপারে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং
ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা, জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি
মূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment